রংপুরের পীরগাছায় ধর্ষণের দায়ে শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে ধর্ষণের কারণে জন্ম নেয়া সন্তানের পিতৃত্বের স্বীকৃতি এবং শিশুটির ভরণপোষণ দিতে দণ্ডিতকে নির্দেশ দেন বিচারক।
রংপুরের দ্বিতীয় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মো. রোকনুজ্জামান সোমবার এ রায় দেন। মামলার অপর দুই আসামি শফিকুলের চাচা মমতাজ উদ্দিন ও ফুফু নজিরনকে এ সময় খালাস দেয় আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন নিউজবাংলাকে জানান, ২০০৭ সালের অক্টোবর মাসে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন শফিকুল। মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। এ ঘটনার পর গর্ভপাতের জন্য চাপ দেন শফিকুল ও তার স্বজনরা। ২০০৮ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি শফিকুলসহ তার বাবা মজিবর, চাচা মমতাজ উদ্দিন ও ফুফু নজিরনের নামে মামলা করেন ওই নারী।
তিনি আরও জানান, ২০০৮ সালের ৪ আগস্ট একটি ছেলেসন্তানের জন্ম দেন ওই নারী। পরে আদালতের নির্দেশে ডিএনএ পরীক্ষা এবং ছয় জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার এ রায় দেন বিচারক।
রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছাড়াও শফিকুলকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ওয়ারিশ হিসেবে সন্তানকে সম্পত্তির অংশীদারত্ব দেয়ার আদেশও দেয়া হয়।
শফিকুলের কোনো সম্পত্তি না থাকলে ওই শিশুর ব্যয়ভার রাষ্ট্রকে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী তুহিন।
এদিকে মামলার আরেক আসামি শফিকুলের বাবা মজিবর মারা যাওয়ায় তাকে আগেই অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল।
রায়ের পর আসামিপক্ষের আইনজীবী জহুরুল ইসলাম জানান, আসামিপক্ষ মনে করলে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।