বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সুপারিশে গুরুত্ব নেই বলেই দুর্নীতি : দুদক চেয়ারম্যান

  •    
  • ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৫:৩৮

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, মাঠ পর্যায় থেকে উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত দুর্নীতি বিদ্যমান। এতে কোনো সন্দেহ নেই। প্রতি বছর দুর্নীতি বন্ধে একাধিক প্রতিষ্ঠানের কাছে দুদক সুপারিশ করলেও সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলো গুরুত্ব দিচ্ছে না বলেই প্রা‌তিষ্ঠা‌নিক দুর্নী‌তি বন্ধ হ‌চ্ছে না।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সুপারিশে সরকারি দপ্তরগুলো ‍গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে প্রা‌তিষ্ঠা‌নিক দুর্নী‌তি বন্ধ হ‌চ্ছে না।

দুদকের ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন নিয়ে সোমবার গণমাধ্যমের সঙ্গে ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় এমন মন্তব্য করেন চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ।

তিনি বলেন, মাঠ পর্যায় থেকে উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত দুর্নীতি বিদ্যমান। এতে কোনো সন্দেহ নেই। প্রতি বছর দুর্নীতি বন্ধে একাধিক প্রতিষ্ঠানের কাছে দুদক সুপারিশ করলেও সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলো গুরুত্ব দিচ্ছে না বলেই প্রা‌তিষ্ঠা‌নিক দুর্নী‌তি বন্ধ হ‌চ্ছে না।

২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে স্বাস্থ্য খাত, নদী দখল, ওয়াসাসহ ১৪টি খাতে দুর্নীতি চিহ্নিত করে তা বন্ধে দুদক সুপারিশ করেছে বলে জানান চেয়ারম্যান।

দেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা রোধে দুদক কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালে আমরা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে ড্রাইভ শুরু করি। কারণ সাসটেইনেবল গোল (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) পূরণে এই দুই খাতের দুর্নীতি রোধ করা দরকার ছিল।’

জাতীয় পরিচয়পত্র থাকলেই তার ট্যাক্স ফাইল থাকতে হবে জানিয়ে ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘দুর্নীতির অন্যতম খাত রাজস্ব। এটা খুবই কঠিন ও জটিল। এটা সহজ হলে সবাই ট্যাক্স দেবে।’

কালো টাকা সাদা করার বিষয়টির সমালোচনা করে তিনি বলেন, ঘুষের টাকা সাদা করবেন, এটা অনৈতিক ও বিব্রতকর।

পুলিশের দুর্নীতি বন্ধে পুলিশ ক্যাডার থেকে থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলে জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এটা হলে দুর্নীতি অর্ধেক কমে যাবে।

সরকারি চাকরির সব পদোন্নতিতে পরীক্ষা চেয়েও রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালে দুদকে অভিযোগ আসে ২১ হাজার ৩৭১টি। এর মধ্যে অনুসন্ধানের জন্য বাছাই করা হয় এক হাজার ৭১০টি। একই বছর দুদক মামলা করে ২৬৩টি। অভিযোগপত্র দেয় ২৬৭টিতে। এসব মামলায় সাজার হার ৬৩ শতাংশ।

বৈঠকে দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম ও মোজাম্মেল হক, দুদক সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর