বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক ঘনিষ্ঠতা চায় তুরস্ক

  •    
  • ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২২:০৮

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর দিচ্ছে তুরস্ক। বাংলাদেশও ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে গেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেবলুৎ সাবুসলু। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ানকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও উন্নত করতে চায় তুরস্ক। বাংলাদেশে দেশটির রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা উসমান তুরান বলেছেন, তার দেশের অনেক বাণিজ্যিক সংস্থা ও ব্যবসায়ী বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী।

একটি তুর্কি সংস্থা বাংলাদেশের এলপিজি খাতে একশ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সোমবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এসব কথা বলেন তুরান।

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে জোর দিচ্ছে তুরস্ক। বাংলাদেশও ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফর করে গেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেবলুৎ সাবুসলু। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ানকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যাওয়াই এই সংকটের সমাধান।

পরে ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস। তিনি বলেন, তুর্কি দূত বলেছেন, সামনের দিনগুলোতেও রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ঢাকার পাশে থাকবে আঙ্কারা।

মুস্তাফা উসমান তুরান বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকটের শুরু থেকেই তুরস্ক সমাধানে বাংলাদেশের পাশে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।’

এ সময় মিয়ানমার থেকে জোরপুর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আসার পরপরই তুর্কি ফার্স্ট লেডির রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের ঘটনায় কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সম্প্রতি দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের পারস্পরিক পরিদর্শনের বিষয়টি সামনে এনে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আশা করেন, নতুন রাষ্ট্রদূতের সময়ে এ সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।

বাংলাদেশে তুরস্কের বিনিয়োগ আগ্রহের বিষয়টিতেও সন্তোষ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। এ সময় লেবাননের বৈরুতে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশের নৌ জাহাজ মেরামত করে দেয়ায় তুরস্ককে ধন্যবাদও জানান প্রধানমন্ত্রী।

এ সময় বাংলাদেশে থাকা অবস্থায় সব ধরনের সহযোগিতার বিষয়ে তুর্কি রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি তুরস্কের প্রেসিডেন্টকেও আমন্ত্রণ জানান তিনি।

এ সময় সাবেক তুর্কি প্রেসিডেন্ট কামাল আতার্তুকের নামে একটি রাস্তার নাম করণে বাংলাদেশকে কৃতজ্ঞতাও জানান দেশটির রাষ্ট্রদূত।

নরওয়ে-মালয়েশিয়ার দূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার স্ভেনডেন ও মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাসিমও।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার স্ভেনডেন

নরওয়ের দূতের সঙ্গে সাক্ষাতে বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে নরওয়ের বিনিয়োগ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

সাক্ষাতের পর প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এমএম ইমরুল কায়েস ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ভৌগলিক অবস্থানে রয়েছে। এ কারণেই বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বাজারে প্রবেশ করা সহজ হবে।’

ইমরুল কায়েস জানান, প্রধানমন্ত্রী নরওয়েকে দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বিশেষ করে তথ্য ও প্রযুক্তি খাত, পরিবেশবান্ধব পাট শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বিনিয়োগ ও ব্যবসা সহায়ক পরিবেশের কথা তুলে ধরেন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় এবং মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীতে দেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সহায়তা করার জন্য নরওয়েকে ধন্যবাদও জানান প্রধানমন্ত্রী।

নরওয়ের রাষ্ট্রদূত জানান, দেশের জাহাজ শিল্পে তার দেশ সহযোগিতা করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার এই খাতের উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতা বৃদ্ধি করেছে।

রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর পরই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়া প্রথম কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি নরওয়ে। সেই থেকে বাংলাদেশকে সহযোগিতা দিয়ে আসছে নরওয়ে। বাংলাদেশের অন্যতম বড় উন্নয়ন সহযোগীও নরওয়ে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাসিম

মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতে দেশটির কাছে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য এলএনজি চান শেখ হাসিনা। মালয়েশিয় দূত জানান, তার দেশ বাংলাদেশে এলএনজি রপ্তানি করতে ইচ্ছুক।

হাইকমিশনার আশা করেন, শিগগিরই বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া অগ্রাধিকার বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) সই হবে। পাশাপাশি, রোহিঙ্গা ইস্যুতে সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন তিনি।

বাংলাদেশের শিক্ষা ও জাহাজ শিল্পে একসঙ্গে কাজ করার ইচ্ছার কথাও জানান মালয়েশীয় দূত।

এ বিভাগের আরো খবর