অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলায় রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি ও কৃষক লীগ নেতা শফিকুল আলম ফিরোজের (কালা ফিরোজ) বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার এক বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন দুদক পরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র অনুমোদন দেয়া হয়েছে।’
২০১৯ সালে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে ২১ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি শফিকুল আলম। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করে র্যাব।
তার বিরুদ্ধে দুই কোটি ৬৮ লাখ ২ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পেয়ে ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর মামলা করে দুদক। সংস্থাটির ঢাকা-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম।
মামলায় বলা হয়, শফিকুল এক কোটি ৪০ লাখ ৪৩ হাজার ৪৭০ টাকার স্থাবর সম্পদ হিসাবে অকৃষি সম্পত্তি অর্জন করেছেন বলে আয়কর নথিতে তথ্য দিয়েছেন। অনুসন্ধানে এই সম্পদ আরও বেশি বলে জানতে পারে দুদক। এ ছাড়া তিনি ওই সম্পদের সুনির্দিষ্ট কোনো উৎস দেখাতে পারেননি।
অনুসন্ধানে বিভিন্ন ব্যাংকে শফিকুল আলমের এক কোটি ২৩ লাখ ৩৯ হাজার ১২০ টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া যায়। ওই টাকারও সুনির্দিষ্ট কোনো উৎস পায়নি দুদক।
দুদক বলছে, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ হিসাবে পাওয়া মোট দুই কোটি ৬৮ লাখ ২ হাজার ৬৩৯ টাকা শফিকুল আলম অবৈধভাবে অর্জন করেছেন।
কালা ফিরোজ হিসেবে পরিচিত শফিকুল আলম এক সময় ধানমন্ডি ক্লাবের সভাপতি ছিলেন। এই ক্লাবের সদস্য হতে তিনি ৬০ লাখ টাকা দেন। শফিকুলের স্ত্রীর নামে ধানমন্ডিতে দুটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থাকার তথ্যও পেয়েছে দুদক।
দুদক কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে-বিদেশে শফিকুলের বিপুল সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়ার পর তদন্তের সময় সেগুলো আমলে নেয়া হবে।