বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আল জাজিরার তথ্যচিত্র খারাপ সাংবাদিকতা: এডিটরস গিল্ড

  •    
  • ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২০:২৩

‘পুরো বিষয়টি একটি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে, অথচ শিরোনাম করা হয়েছে “অল দ্যা প্রাইম মিনিস্টারস মেন।” বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত বিশেষ কিছু অভিযোগের বয়ান দিতে গিয়ে প্রমাণহীনভাবে “প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ টার্মটা ব্যবহার করা মন্দ সাংবাদিকতা বলে দাবি করছে এডিটরস গিল্ড।”

কাতারের আল জাজিরা চ্যানেলে সম্প্রচারিত বাংলাদেশ সম্পর্কিত ‘অল দ্যা প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ নামের তথ্যচিত্রটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে দেশের সম্পাদকদের একটি সংগঠন এডিটরস গিল্ড। তারা একে ‘মন্দ’ বা খারাপ সাংবাদিকতা বলছে।

তারা বলছে, সাংবাদিকতার নীতিনৈতিকতা না মেনে, বিশেষ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই তথ্যচিত্রটি সম্প্রচার করা হয়েছে।

এডিটরস গিল্ডের মত, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কোনো কিছু প্রচার করা হলে তা গণতন্ত্র ও সাংবাদিকতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।

রোববার সংগঠনটির সভাপতি মোজাম্মেল বাবুর পাঠানো এক বিবৃতিতে এ সব কথা বলা হয়।

এতে বলা হয়েছে, ‘পুরো বিষয়টি একটি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে, অথচ শিরোনাম করা হয়েছে “অল দ্যা প্রাইম মিনিস্টারস মেন।” বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত বিশেষ কিছু অভিযোগের বয়ান দিতে গিয়ে প্রমাণহীনভাবে “প্রাইম মিনিস্টারস মেন” টার্মটা ব্যবহার করা মন্দ সাংবাদিকতা বলে দাবি করছে এডিটরস গিল্ড।’

রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নির্মিত ও পক্ষপাতদুষ্ট একটি তথ্যচিত্র কোনোভাবে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার দৃষ্টান্ত হতে পারে না বলেও দাবি করেছে এডিটরস গিল্ড।

একজন মানুষের কিছু অনানুষ্ঠানিক ও আড্ডার আলাপকে পুরো তথ্যচিত্রের মূল ভিত্তি হিসেবে দেখানো হয়েছে দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, এর কোনো গ্রহণযোগ্য প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি।

এতে বলা হয়, হাঙ্গেরি ও ফ্রান্সে মিলিয়ন মিলিয়ন ইউরো বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছে। এর উৎস দেখানো হয়নি। কেবল মুখের কথাতেই বলা হয়েছে সরকারের কাজ পাইয়ে দেয়ার বিনিময়ে বিরাট অর্থ লেনদেনের কথা। এ সব অভিযোগের সমর্থনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিংবা সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের কোনো প্রশাসনিক বক্তব্যও আল জাজিরা দেয়নি।

এডিটরস গিল্ডের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সামিকে জীবননাশের হুমকি দেয়া ইমেইলের অরিজিনাল পেইজ ছিল না। ফলে এর সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। হাঙ্গেরি, ফ্রান্স বা মালয়েশিয়ায় বিচরণকারী হিসেবে যাদের দেখানো হয়েছে এবং তাদের পাসপোর্ট জালিয়াতি, অর্থপাচার, ইত্যাদি নানা অপরাধের যে বর্ণনা রয়েছে এসব বিষয়ে সেই সব দেশের সরকারের দিক থেকে কারও কোনো বক্তব্য না থাকায় এডিটরস গিল্ড এই তথ্যচিত্রের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

তথ্যচিত্রের পুরোটা সময় গোপন ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও দেখানো হয়েছে উল্লেখ করে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে দাবি করা হয়, এটি একটি মানসম্পন্ন সংবাদমাধ্যম করতে পারে না, যাদের বিরুদ্ধে এত কিছু, তাদের বক্তব্য না থাকায় এটি সম্পূর্ণ সাংবাদিকতা পরিপন্থী কাজ হয়েছে।

দীর্ঘ দুই বছরের অনুসন্ধানের পর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি- বলাটা অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করছে এডিটরস গিল্ড।

স্পাই ওয়্যার কেনার বিষয়টি সরকারের নিজস্ব নীতি এবং সেটি ইসরায়েলি কোম্পানি থেকে কেনা হয়েছে তার কোনো প্রমাণ তথ্যচিত্রে নেই বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলে এক প্রকার সাংবাদিকতার মতোই এখানে দুজন ইসরায়েলি কর্মকর্তার কথা বলে তাদের ছবি ঢেকে দেয়া হয়েছে। এগুলো নিছক চাতুর্য ছাড়া আর কিছু নয়।

এক ঘণ্টার তথ্যচিত্রের অন্যতম সাক্ষাৎকারদাতা বাংলাদেশের আদালতে দণ্ডিত বলেও উল্লেখ করে এডিটরস গিল্ড। সংগঠনটি বলছে, যৌক্তিক প্রমাণ দিয়ে সাংবাদিকতার স্বার্থে যে কোনো সংবাদ বা আনুষ্ঠানকে স্বাগত জানায় তারা।

কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কোনো কিছু প্রচারিত হলে তা প্রকারান্তরে গণতন্ত্র ও সাংবাদিকতা উভয়কেই ক্ষতিগ্রস্ত করে।

এ বিভাগের আরো খবর