রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকায় নিজের পাঁচ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আক্তার হোসেন সরদার নামের এক জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রোববার বিকেলে ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সামছুন নাহার এই রায় দেন। রায়ে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
রায়ের সময় শিশুটির নানা আদালতে হাজির ছিলেন। রায়ের পর কাঠগড়া থেকে নামার সময় আক্তার হোসেন শিশুটির পরিবারের সবাইকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন।
মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত নয় সাক্ষীই আদালতে সাক্ষ্য দেন বলে জানিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আলী আজগর স্বপন।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, সবাই মিলে সমাজের এই ভয়ংকর পরিণতি দূর করার জন্য সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি।
তিনি জানান, ২০১৮ সালের ওই ঘটনায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে হাজারীবাগ থানায় মামলাটি করেন।
শিশুটির নানা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রায় আড়াই বছর এই মামলা নিয়ে আদালতে এসেছি। আজ এই নরপশুর শাস্তিতে আমাদের আশা পূরণ হয়েছে।’
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আরেক আইনজীবী ফাহমিদা আক্তার বলেন, আসামি আক্তার সরদার মহানগর হাকিম আদালতে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। ভিকটিমও তার বাবার বিরুদ্ধে জবানবন্দি দিয়েছে। তার একমাত্র শাস্তি যাবজ্জীবনই হতে পারত। মামলার বাদী ন্যায় বিচার পেয়েছেন।
রায়ের সময় আদালতে আসামির কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না।
রায়ের পর কাঠগড়া থেকে নামার সময় মেয়েটির নানাকে উদ্দেশ করে আসামি আক্তার হোসেন সরদার বলেন, ‘তোদের সবাইকে শেষ করে ফেলব। কাউকে বাঁচতে দিব না।’
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা হাজারীবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ মিরাজ উদ্দিন। ২০১৯ সালের ৩ এপ্রিল আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।