করোনাভাইরাস পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসায় বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসার বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সব ধরনের ভিসা কার্যক্রম।
রোববার দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে শিক্ষার্থীসহ ৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার থেকে ভিসা আবেদন গ্রহণ আবার শুরু করতে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া।
অবশ্য এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কোনো নির্দেশনা নেই ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার ওয়েবসাইট বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মেও।
গত বছরের ২২ জুন করোনা পরিস্থিতির প্রকোপ বাড়লে বিদেশিদের ভিসা দেয়া বন্ধ করে দেয় শিউল। তখন সেখানে দায়িত্বে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছিল, এটা সাময়িক সিদ্ধান্ত। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে বিষয়গুলো বিবেচনা করা হবে।
এর মধ্যে বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতির বেশ উন্নতি হয়েছে। প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে শনাক্তের হার পাঁচ শতাংশের নিচে। কমেছে মৃতের সংখ্যাও।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিধি অনুযায়ী কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহ শনাক্তের হার পাঁচ শতাংশের নিচে থাকলে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে বলে ধরা হয়। অবশ্য সে ক্ষেত্রে নমুনা পরীক্ষা করাতে হয় অন্তত ২০ হাজার।
বাংলাদেশে নমুনা পরীক্ষা ২০ হাজারে পৌঁছাচ্ছে কমই। এর পেছনে অবশ্য সরকারের কোনো দায় নেই। শুরুর দিকে কিটসহ অবকাঠামোগত সমস্যায় পরীক্ষা করতে বাধা পেলেও এখন আর সে পরিস্থিতি নেই। দেশের ২০৬টি ল্যাবে এখন পরীক্ষা করা যায়, সেই সঙ্গে শুরুর হয়েছে অ্যান্টিজেন টেস্টও। জনগণই পরীক্ষা করতে কম যাচ্ছে।
করোনা সংক্রমণের শুরুতে চীনের পরপরই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় দক্ষিণ কোরিয়ায়। তবে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করাসহ তাৎক্ষণিক বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে দেশটি।
২০২০ সালের ২২ জুন বাংলাদেশি পেশাজীবী নাগরিকদের জন্য পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত ভিসা বন্ধ ঘোষণা করে দক্ষিণ কোরিয়া। একই সঙ্গে চার্টার্ড ও অনিয়মিত ফ্লাইটের অনুমতি দেয়াও সীমিত করা হয়।
ওই দিন বাংলাদেশ দূতাবাসের দেয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৮ জুন, ২০২০ বাংলাদেশ থেকে আগত বিশেষ ফ্লাইটের যাত্রীদের ১১ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার কূটনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী ছাড়া অন্যান্য পেশাজীবী বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা দেয়া পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করেছে। এ নির্দেশনা ২৩ জুন থেকে কার্যকর হবে।