কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তথা এসি ল্যান্ডকে লাঞ্ছিত করার মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে শনিবার রাতেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তবে রোববার বিকেল চারটার দিকে বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় কটিয়াদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিলকে কটিয়াদী থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন চড়িয়কোনা গ্রামের মেহেদী হাসান, পূর্ব ভিটাদিয়া গ্রামের কামাল হোসেন ও রামদী পশ্চিমপাড়া গ্রামের আতাউর রহমান মিন্টু।
এর আগে সকালে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় চারজনের নামসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের নামে একটি মামলা করেন এসি ল্যান্ড আশরাফুল আলম।
আর কমিউনিটি ক্লিনিক ভাঙচুর ও লোকজনকে মারধরের ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ১৫ থেকে ২০ জনের নামে মামলা করেছেন স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকুর রহমান।
কটিয়াদীতে কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ নিয়ে স্বাস্থ্য সচিব আবদুল মান্নান ও কিশোরগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদের মধ্যে অনেক দিন ধরে চলছিল দ্বন্দ্ব।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে বাড়ির পাশের ওই ক্লিনিকের কাজ দেখতে যান স্বাস্থ্য সচিব। এ সময় ২০ থেকে ২৫ জনের একটি দল সেখানে গিয়ে কাজ বন্ধ রাখতে বলে। এ নিয়ে সচিবের সঙ্গে তাদের কথা-কাটাকাটি হয়।
সচিবের বাড়িতে অবস্থান করা এসি ল্যান্ড আশরাফুল আলম ঘটনা জানতে এগিয়ে যান। এ সময় তাকে পুকুরে ফেলে দেয়া হয়। মারধর করে বের করে দেয়া হয় নির্মাণশ্রমিকদের।
জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ শামীম আলম গণমাধ্যমকে বলেন, লাঞ্ছিত করা হয়েছে এসি ল্যান্ডকে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, স্বাস্থ্য সচিবের বাড়িতে হামলাটি হয়েছে মূলত চান্দপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ মুরাদের নেতৃত্বে। তবে নিউজবাংলার কাছে মুরাদ দাবি করেন, তিনি ঘটনাস্থলেই ছিলেন না।
অভিযোগের বিষয়ে সংসদ সদস্য নূর মোহাম্মদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ক্লিনিকের রাস্তা করা নিয়ে স্থানীয়রা ভোগান্তির শিকার হওয়ায় তাকে (স্বাস্থ্য সচিব) জিজ্ঞাসা করতে গিয়েছিল। তখন স্বাস্থ্য সচিব তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। এতে তারা ক্ষুব্ধ হন।’