চশমা মেরামতের জন্য ১২ বছরের ছেলে ও ৬ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে সিরাজগঞ্জ শহরের বাসা থেকে বেরিয়েছিলেন শিক্ষক রুনী খাতুন। কিন্তু চশমার দোকানে পৌঁছানোর আগেই তাদের বহনকারী অটোরিকশায় চাপা দেয় বাস। এতে নিহত হয় তিনজনই।
সিরাজগঞ্জ-কড্ডা আঞ্চলিক মহাসড়কের কালাচাঁন মোড়ে রোববার দুপুর ১২টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন অটোরিকশার চালক।
নিহত রুনী খাতুন বনবাড়ীয়া সরকরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তিনি সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার মিরপুর দক্ষিণপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। দুর্ঘটনায় তার ছেলে অদি ও মেয়ে সায়েবাও নিহত হয়।
আহত অটোরিকশার চালক চান মিয়া পৌর এলাকার একডালা স্লুইসগেট এলাকার বাসিন্দা।
স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে কাউন্সিলর আরজু জানান, রুনী চশমা মেরামতের জন্য ছেলে-মেয়েকে নিয়ে অটোরিকশায় করে শহরে যাচ্ছিলেন। কালাচাঁন মোড়ে যাত্রীবাহী একটি বাস ট্রাককে ওভারটেক করে অটোরিকশাকে চাপা দেয়। ওই সময় অটোরিকশাটি ট্রাকের মুখোমুখি হয়ে দুমড়েমুচড়ে যায়।
এতে ঘটনাস্থলেই ছেলেসহ রুনী নিহত হন। গুরুতর আহত চালক ও সায়েবাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিৎসক সায়েবাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকি জানান, বাসটি জব্দ করতে পারলেও চালক ও হেলপারকে আটক করা সম্ভব হয়নি। মরদেহগুলো সদর হাসপাতালের মর্গে আছে।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।