বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ক্রেডিবিলিটি হারিয়ে ফেলেছে আল জাজিরা: মোমেন

  •    
  • ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৯:২৯

‘পাবলিক বুঝেছে এটা মিথ্যা। তবে যেগুলো তথ্যগত ভুল বা বিকৃতি সে বিষয়ে আমরা দেখব এবং আমরা মামলা করব। আমরা সেটার কাজ করছি।’

বাংলাদেশকে নিয়ে তৈরি করা প্রতিবেদনে জালিয়াতির কারণে কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

মন্ত্রী বলেন, সেই প্রতিবেদন নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিন পত্রিকায় সাংবাদিক বোরহান কবির লিখেছেন। তিনি অনেক বিষয় তুলে ধরেছেন।

‘প্রতিবেদনে অনেক বিষয় খুব সুন্দর করে এডিটিং করা হয়েছে। যা সাধারণ পাবলিক বুঝবে না।’

গত সোমবার আল জাজিরার এক ঘণ্টার ডকুড্রামা ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’ প্রচার করা হয়।

মন্ত্রী বলেন, ‘পাবলিক বুঝেছে এটা মিথ্যা। তবে যেগুলো তথ্যগত ভুল বা বিকৃতি সে বিষয়ে আমরা দেখব এবং আমরা মামলা করব। আমরা সেটার কাজ করছি।’

শনিবার ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে ‘মুজিব শতবর্ষে এক্সিম ব্যাংক’ শীর্ষক এক কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর তিনি কথা বলেন সাংবাদিকদের সঙ্গে।

‘মুজিব শতবর্ষে এক্সিম ব্যাংক’ শীর্ষক কর্মসূচি উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। ছবি: ফোকাস বাংলা

মন্ত্রী বলেন, ‘আজকে ভালো একটি আর্টিক্যাল বের হয়েছে। বোরহান কবির বাংলাদেশ প্রতিদিনে বের করেছেন।

‘সেখানে দেখিয়েছেন যাকে রিসিভ করতে গেছেন, ওটা হচ্ছে মালয়েশিয়ার গাড়ি, আর আরেকটি গাড়ি অন্য একটি দেশের নম্বর প্লেট। এয়ারপোর্ট দুই দেশের দুই জায়গায় দেখিয়েছে। খুব সুন্দর করে এডিটিং করেছে। যার ফলে সাধারণ পাবলিক বুঝবে না।…আরও অনেক টেকনিক্যাল দিক আছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘আল জাজিরা অনেক ক্রেডিবিলিটি হারিয়ে ফেলেছে। এভাবে বানোয়াট, টেকনিক্যালি জোড়াতালি দিয়ে করেছে, এভাবে তারা গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে।'

বাংলাদেশে আল জাজিরা বন্ধ করা হবে নাকি আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে- এমন প্রশ্নও ছিল মন্ত্রীর কাছে।

জবাবে তিনি বলেন, ‘যেখানে তথ্যগত ভুল। সেখানে উই উইল রেইজ, সেখানে ইউ উইল শু (আমরা মামলা করব)। আমরা সেটার কাজ করছি।‘

আল জাজিরার প্রতিবেদন নিয়ে জাতিসংঘ মুখপাত্রের ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্ন ও তার জবাব নিয়েও কথা বলেন মন্ত্রী।

বলেন, ‘সেখানে একজন বাঙালি ভদ্রলোক আছেন, তিনি সব সময় প্রশ্ন করেন। আল জাজিরার কারণে তিনি প্রশ্ন করেছেন।

‘এই লোক (জাতিসংঘের মুখপাত্র) বলেছেন, আমাদের বাংলাদেশের পিসকিপিং সবচেয়ে লার্জেস্ট। আমরা যখন নিয়োগ করি, তারা তাদের ইকুইপমেন্ট নিয়ে যায়।

‘আপনারা যেমন বলেন, তেমনি বলেছেন, এটা যেহেতু বের হয়েছে তার ইনভেস্টিগেশন হওয়া ভালো। এতে আমাদেরও কোনো আপত্তি নেই।’

জাতিসংঘ কি তদন্ত চেয়েছে?- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘না না অফিশিয়ালি চায়নি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, এই ধরনের অভিযোগ যদি হয়, আমরাও বলি, অভিযোগ যদি হয় অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।’

আল জাজিরা কী ধরনের ভুল করেছে?- এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চেক করব, তথ্য দেখব, কী ধরনের ভুল। তবে আমরা আল জাজিরার আগেও দেখেছি, যেখানে ৩০ লক্ষ মারা গেছে, সেখানে তিন লাখের কথা বলে। অনেক সময় উল্টাপাল্টা তথ্য দেয়।’

‘আমাদের দেশে মনে আছে কিছুদিন আগে সাইদীকে চন্দ্রে দেখা গেল। কিছুদিন আগে হেফাজতের দুর্ঘটনার পর ছবি বের হলো হাজার হাজার লোক মারা গেল। পরে দেখা গেল ওই ছবিটা ১৯৭৮ সালের। আরেকটি ছবি দেখেছিলাম তখন, মক্কা শরিফের সব ইমামরা গিলাফ নিয়ে ব্যানার তুলেছেন। পরে দেখলাম সব বানোয়াট’- নানা সময় ফেসবুকে কারসাজি করে বিভিন্ন ছবি পোস্টের বিষয়টি তুলে ধরে এমন কথাও বলেন মন্ত্রী।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে কী ধরনের ভুল তথ্য আছে- এমন এক প্রশ্নে মোমেন বলেন, ‘আমরা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিনি। কিন্তু ওনার এই ৪৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এখন এখন এসএসএফ গার্ড দেয়। ওনার কোনোদিন কোনো বডিগার্ড ছিল না। ওনার বডিগার্ড হলো ওনার সব নেতাকর্মীরা।

‘কোনোদিন আমরা দেখিনি উনি পয়সা দিয়ে বডিগার্ড রেখেছেন। ওখানে লেখা হয়েছে, ওনার দুই বডিগার্ড।’

তিনি বলেন, ‘এখন আমার পেছনে অনেক দাঁড়িয়েছেন। আমি সবাইকে চিনি না। নেত্রী যখন বক্তৃতা দেন, পেছনে অনেক লোক দাঁড়ান। একজন কোথায় কোন জায়গায় দাঁড়াইছেন।

‘আমিও যখন বক্তৃতা দিই আমার পেছনে বহু লোক দাঁড়ায়। আমি তাদের খুব কম লোককেই চিনি। কিন্তু ওখানে (আল জাজিরার প্রতিবেদনে) একজনের ছবি দিয়ে বলছে, ওটা ওনার (শেখ হাসিনার) বডিগার্ড। এই রকমের মিথ্যা তথ্য!’

এ বিভাগের আরো খবর