বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অভ্যুত্থান : ঢাকাকে ব্যাখ্যা দিল মিয়ানমারের জান্তা

  •    
  • ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৮:৫৯

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন জানালেন, বাংলাদেশকে পাঠানো চিঠিতে জান্তা সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। মিলিটারি কমান্ডাররা রাখাইনে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে গিয়েছিলেন এবং তাদের সঙ্গে আলাপ করেছেন।

অং সান সু চিসহ গণতন্ত্রপন্থী ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এনএলডি) নেতাদের গ্রেপ্তার করে ক্ষমতা দখলের কারণ ব্যাখ্যা করে ঢাকাকে চিঠি দিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী।

এতে দাবি করা হয়েছে, নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে এক কোটি ভুয়া ভোটার তৈরি করে ক্ষমতা চিরস্থায়ীর চিন্তা করেছিল সু চি সরকার। এই জালিয়াতি ঠেকানোর দায়িত্ব সেনাবাহিনীর ওপর চলে এসেছে।

তবে চিঠিতে জান্তা সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে বলে জানালেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে খবর এসেছে যে মিলিটারি কমান্ডাররা রাখাইনে অবস্থিত রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে গিয়েছিলেন এবং তাদের সঙ্গে আলাপ করেছেন। রোহিঙ্গারা তাদের অভিযোগের কথা তাদের বলেছে। রোহিঙ্গারা যে রাখাইনে স্বাধীন চলাফেরা করতে পারে না, নানা প্রতিকূলতার মধ্যে আছে, তাও বলেছে তারা।

‘জবাবে জান্তা সরকারের প্রতিনিধিরা তাদের বলেছে, আমরা তোমাদের অবস্থার পরিবর্তন করব, ধাপে ধাপে অবস্থার পরিবর্তন করব। এগুলো শুনে কুতুপালং ক্যাম্পেও আনন্দ বইছে। রোহিঙ্গারা খুব উৎসাহ দেখাচ্ছে সেনাশাসকদের প্রতি। তারা খুশি যে আর্মিরা তাদের অভয় দিচ্ছে।’

এনএলডির সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর টানাপোড়েন শুরু গত ৮ নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের পর থেকে।

নির্বাচনে এনএলডির কাছে সেনা-সমর্থিত ইউএসডিপির ভরাডুবির পর থেকেই মিয়ানমারে সেনা-অভ্যুত্থানের শঙ্কা তৈরি হয়। এই শঙ্কা বাস্তবে রূপ নিতে বেশি সময় লাগেনি।

সংবিধান অনুযায়ী মিয়ানমারে আইন সভায় সেনাবাহিনীর জন্য সংরক্ষিত ২৫ শতাংশ তথা ১৬৬টি আসন।

বাকি ৪৯৮টি আসনের মধ্যে গত নির্বাচনে ইউএসডিপি পায় মাত্র ৩৩ আসন। আর সু চির এনএলডি পায় ৩৯৬ আসন, এতে নির্দিধায় টানা দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করা যেত।

এই জনরায় মেনে নেয়নি সেনাবাহিনী। শুরু থেকেই নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলছিল তারা। সোমবার নির্বাচিত আইনপ্রণেতাদের নিয়ে পার্লামেন্টের অধিবেশনের ডাক দিয়েছিল এনএলডি। কিন্তু এদিন ভোরেই সব এলোমেলো করে দেয় সেনাবাহিনী।

ক্ষমতায় বসেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান মিন অং হ্লেইন। এই অভ্যুত্থানের পর দেশ-বিদেশে ব্যাপক চাপের মধ্যে পড়লেও থামছে না মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থীদের গ্রেপ্তার চলছেই। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রামসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। জনগণের মত প্রকাশের কোনো উপায়ই রাখা হচ্ছে না।

তবে মিয়ানমারে অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলন ক্রমেই তীব্র হচ্ছে। রাস্তায় নেমে এসেছে সর্বস্তরের জনগণ। শনিবার রাজধানী ইয়াঙ্গুনে দেখা গেছে, হাজারও মানুষের অংশগ্রহণে প্রতিবাদ সমাবেশ। তাদের স্লোগান ছিল- ‘স্বৈর শাসন ব্যর্থ, ব্যর্থ; গণতন্ত্র জয়, জয়।’

এ বিভাগের আরো খবর