বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাটা পড়ছে বিটিসিএলের তার, ভোগান্তিতে গ্রাহক

  •    
  • ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৬:০৮

খাগড়াছড়ি বিটিসিএলের সহকারী প্রকৌশলী ওমর ফারুক জানান, এমনিতেই ভূগর্ভস্থ টেলিফোন লাইনটি পুরনো ও জীর্ণশীর্ণ। তার ওপর বারবার তার কাটা পড়ছে। তাই টেলিফোন সেবাতেও বারবার ব্যাঘাত ঘটছে। ভূগর্ভস্থ তার একবার কাটা পড়লে ম্যানুয়ালি জোড়া লাগাতে হয়। টেকনিশিয়ারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেও তার জোড়া লাগাতে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগেই।

খাগড়াছড়ি জেলা সদরে উন্নয়নকাজে বারবার কাটা পড়ছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) তার। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে টেলিফোন সেবা; ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা।

সবশেষ গত বৃহস্পতিবার রাতে কলেজ রোডের সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কার্যালয়ের সামনের সড়কে কাজ করার সময় বিটিসিএলের তার কাটা পড়ে। এরপর থেকে খাগড়াছড়ি জেলা সদরে বিটিসিএলের আওতাধীন বেশিরভাগ এলাকায় টেলিফোন সেবা বন্ধ।

খাগড়াছড়ি সদরের চেঙ্গী স্কয়ার থেকে পৌরসভা এলাকার সেতু পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কে তিন মাস ধরে চলছে সম্প্রসারণের কাজ। এ বছরের জানুয়ারি থেকে এসক্যাভেটর দিয়ে মাটি খনন ও মাটি তোলার কাজ শুরুর পর বিটিসিএলের তার কাটা পড়তে থাকে।

সেবাগ্রহীতাদের অভিযোগ, এ কাজে নির্মাণশ্রমিকরা নিয়ম অনুসরণ করছেন না। যন্ত্র দিয়ে বেপরোয়াভাবে মাটি কাটার সময় বিচ্ছিন্ন হচ্ছে সংযোগ।

খাগড়াছড়ি সদরের নারিকেল বাগান এলাকার গ্রাহক সবুজ মিয়া জানান, তিনি বিটিসিএলের টেলিফোনের পাশাপাশি ইন্টারনেট সংযোগ নিয়েছেন। তার কাটা যাওয়ায় এখন ইন্টারনেটের কাজও করতে পারছেন না।

সদরের শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা সমর দেবনাথ জানান, লাইন এভাবে বিচ্ছিন্ন থাকলে অনলাইনে ছেলে-মেয়েদের ক্লাস করা ব্যাহত হবে।

খাগড়াছড়ি কলেজ গেইট এলাকার ব্যবসায়ী মামুন হোসেন জানান, ব্যবসার কাজে অনেক জায়গায় ফোন করা লাগে বলে খরচ কমাতে টিঅ্যান্ডটির টেলিফোন লাইন নিয়েছেন তিনি। সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় তার যোগাযোগের কাজে অসুবিধা হচ্ছে।

বিটিসিএল বলছে, এ নিয়ে তিন বার ওই সড়কে তার কাটা পড়েছে। শ্রমিকদের কাজের কারণে তার কাটা পড়ার বিষয়ে পৌরসভাকে লিখিত জানানো হয়েছে। বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে মাসিক সমন্বয়সভায়। তারপরও কোনো কাজ হয়নি।

খাগড়াছড়ি বিটিসিএলের সহকারী প্রকৌশলী ওমর ফারুক জানান, এমনিতেই ভূগর্ভস্থ টেলিফোন লাইনটি পুরনো ও জীর্ণশীর্ণ। তার ওপর বারবার তার কাটা পড়ছে। তাই টেলিফোন সেবাতেও বারবার ব্যাঘাত ঘটছে। ভূগর্ভস্থ তার একবার কাটা পড়লে ম্যানুয়ালি জোড়া লাগাতে হয়। টেকনিশিয়ারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেও তার জোড়া লাগাতে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগেই।

তিনি আরও জানান, ভূগর্ভস্থ এই তারগুলোর মাধ্যমে খাগড়াছড়ির মূল টেলিফোন এক্সচেঞ্জ থেকে বিভিন্ন পয়েন্টের বাক্সে সংযোগ করা হয়েছে। তাই এগুলো টেলিযোগাযোগের খুবই গুরুত্বপূর্ণ তার।

এ নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেলিম অ্যান্ড ব্রাদার্স এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কাউকে পাওয়া যায়নি।

এ বিভাগের আরো খবর