বাংলাদেশ কত দিন রোহিঙ্গাদের বোঝা বহন করবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সে প্রশ্ন করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
নিজ বাসায় শনিবার এক ব্রিফিংয়ে তিনি প্রশ্নটি করেন।
কাদের বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সরকারের নানামুখী উদ্যোগ চলমান। মিয়ানমারের সাম্প্রতিক পট পরিবর্তন এবং এর পরবর্তী পরিস্থিতির ওপর দৃষ্টি রাখছে সরকার।
‘পরিস্থিতির গভীরতা অনুভব করে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে চলমান তৎপরতা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আরও বেগবান করবে বলে আমরা আশা করি। বাংলাদেশ আর কত দিন এ বোঝা বহন করবে?’
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের শিকার হয়ে সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। এর আগে থেকে ছিল আরও প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা। বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা রয়েছে কক্সবাজারের ৩৪টি ক্যাম্পে।
ব্রিফিংয়ে নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নেতাদের সমালোচনার জবাব দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির কাছে নিরপেক্ষ নির্বাচনের অর্থই হচ্ছে তাদের নির্বাচনে জয়যুক্ত করে দেয়ার গ্যারান্টি। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে বারবার নির্বাচনের কফিনে গণতন্ত্রের লাশ উপহার দিয়েছে।
‘বিএনপি অহেতুক রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে। তাদের কর্মসূচি মানেই সন্ত্রাস ও সহিংসতা ছড়ানো। জনমানুষের সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন আবার সহিংস হয়ে ওঠার অপচেষ্টা করছে। কিন্তু জনগণ সচেতন রয়েছে। কর্মসূচিতে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে।’
কাদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাজ করছে স্থিতিশীলতা। করোনার অভিঘাত কাটিয়ে প্রতিটি খাতে ফিরতে শুরু করেছে চাঞ্চল্য। বিএনপি নির্বাচনের আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করেছিল। সেই ফ্রন্ট ছিল ক্ষমতা ভাগাভাগির ফ্রন্ট।
‘পারস্পরিক অবিশ্বাস ও আস্থাহীনতায় কাদা-ছোড়াছুড়ি আর একজন আরেকজনকে বহিষ্কার সে ফ্রন্টের সফলতা ছিল। এখন আবার তারা জাতীয় ফ্রন্ট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। আসলে বিএনপির নেতৃত্বে মোর্চা গঠন জাতীয় ঐক্যের মুখোশের আড়ালে ক্ষমতা ভাগাভাগির ফ্রন্ট।’
করোনাভাইরাসের টিকা নেয়ার আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, ‘একটি মহল করোনার টিকা নিয়ে এখননো সংশয় সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের কথা কানে নেবেন না। টিকার নেতিবাচক কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি। সবাই উৎসাহের সঙ্গে টিকা নিন।’
এ সময় ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে সভা-সমাবেশ, প্রতিনিধি সভা ও গণসংযোগ কর্মসূচি পালন করার আহবান জানান তিনি।