বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইউল্যাবছাত্রীর ঘটনায় গ্রেপ্তার বান্ধবী রিমান্ডে

  •    
  • ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০১:০৭

বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই দিন মামলার আরেক আসামি নিহত শিক্ষার্থীর আরেক বন্ধু আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের (ইউল্যাব) শিক্ষার্থীকে মদ্যপান করিয়ে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার নারী শিক্ষার্থীকে পাঁচ দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ, যার বাসায় তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।

শুক্রবার বেলা তিনটায় ওই শিক্ষার্থীকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাজেদুল ইসলাম। শুনানি শেষে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের বিচারক সত্যব্রত শিকদার পাঁচ দিনের অনুমতি দেন।

বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একই দিন মামলার আরেক আসামি নিহত শিক্ষার্থীর আরেক বন্ধু আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

গত ৩১ জানুয়ারি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীর দুই বন্ধুর পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত, যাদের একজন মামলার প্রধান আসামি।

ইউল্যাবের ওই শিক্ষার্থী ৩১ জানুয়ারি রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগেই তাকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন তার বাবা। এই মামলার আগেই মারা যান এক আসামি।

মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে যাকে আসামি করা হয়েছে, তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা সাজেদুল ইসলাম।

মামলায় বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে আসামি করা দুজনসহ উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে যান ওই শিক্ষার্থী। সেখানে আরও দুজন আগে থেকেই অবস্থান করছিলেন।

রেস্টুরেন্টে অতিরিক্ত মদ পান করানোয় শিক্ষার্থী অসুস্থ বোধ করেন। সেখান থেকে মোহাম্মদপুরে এক বান্ধবীর বাসায় যান তারা। সে বাসায় এক নম্বর আসামিও যান। রাতে তার দ্বারাই শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হন। এরপর ওই বাসায় থাকা অবস্থায় একাধিকবার বমি করে অসুস্থ হন ওই ছাত্রী। এ অবস্থায় পরদিন সকাল সাতটার দিকে প্রথমে ইবনে সিনা হাসপাতাল ও পরে আনোয়ার খান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় আইসিইউতে রাখা হয় তাকে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও জোনের ডিসি হারুন অর রশীদ বলছেন, ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামির সঙ্গে মেয়েটির পূর্ব সম্পর্ক ছিল।

নিহত ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্ত করা চিকিৎসক শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সেলিম রেজা।

আরও পড়ুন: হাসপাতালে বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রীর মৃত্যু, ধর্ষণের অভিযোগ

সেই ছাত্রীকে ধর্ষণের ‘আলামত মেলেনি’, গ্রেপ্তার দুজন রিমান্ডে

এ বিভাগের আরো খবর