বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আল জাজিরার খবর মিথ্যা প্রমাণ হলে ফাঁসি নেব: নুর

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২৩:৩৯

বাংলাদেশ ‘মাফিয়া রাষ্ট্রে’ পরিণত হয়েছে দাবি করে সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা নুরুল হক নুর বলেন, ‘আজ আমরা কথা বলছি, তাই আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে।’

বাংলাদেশকে নিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনটি সরকার পুরোপুরি মিথ্যা প্রমাণ করতে পারলে স্বেচ্ছায় ফাঁসি নেবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।

তিনি বলেন, ‘আমরা ধরে নিলাম আল জাজিরার প্রতিবেদন পুরোপুরি সত্য নয়। যদি সরকার প্রমাণ করতে পারে প্রতিবেদনটি পুরোপুরি মিথ্যা, তাহলে আমি জনগণের সামনে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, স্বেচ্ছায় ফাঁসি নেব।’

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন নুর।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, লেখক মোস্তাক আহম্মেদের মুক্তি ও নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশটির আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি আল জাজিরার প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেয়। এ বিবৃতির উদ্দেশ্য নিয়েও সন্দিহান ভিপি নুর।

শিক্ষকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কোন উদ্দেশ্যে বিবৃতিটি দিয়েছেন? বিবেকের তাড়নায় বিবৃতিটি দিয়েছেন, না কি কেউ হলের প্রভোস্ট হবেন, কেউ ভাইস চ্যান্সেলর বা প্রক্টর হবেন এই মোহ থেকে বিবৃতি দিয়েছেন?’

বাংলাদেশ ‘মাফিয়া রাষ্ট্রে’ পরিণত হয়েছে দাবি করে সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদের এই নেতা বলেন, ‘আজ আমরা কথা বলছি, তাই আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে। এমনকি ক্ষুদ্র মুদি দোকানদার পলাশকেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঠিক এভাবেই বিভিন্ন আইন করে, মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে, ‘গুন্ডাতন্ত্রের’ মাধ্যমে এ দেশকে মাফিয়া রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে।’

বাংলাদেশকে মাফিয়া মুক্ত করতে নুর তার সহকর্মীদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই সংগ্রাম করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা একত্রিত হয়েছি, হয়ত পরবর্তীতে একত্রিত নাও হতে পারি। তাই এই মাফিয়াদের বিরুদ্ধে যখনই আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে, তখনই আপনার ঝাঁপিয়ে পড়বেন।’

এর আগে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য রাখাল রাহা।

তিনি বলেন, ‘৫৭ ধারা নামে আগে একটি আইন ছিল। সেই আইনের বিরুদ্ধে আমরা অনেক কথা বলেছি। সেই ৫৭ ধারা বাতিল করার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে অনেকগুলো ধারা আনা হয়, যেগুলো ৫৭ ধারার চেয়েও অনেক বেশি নিপীড়নকারী, কাউকে হয়রানি করার জন্য অনেক বেশি শক্তিশালী।’

সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের জান ও জবানকে ক্রসফায়ার করা হয়েছে। কার্টুনিস্ট কিশোর ও লেখক মোস্তাককে এই নিরাপত্তা আইনেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কারাবাসের ৯ মাস পূরণ হচ্ছে। অথচ তাদের কোনো বিচার এখনো হয়নি।’

এ সময় সমাবেশ থেকে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর ও লেখক মোস্তাক আহম্মেদের মুক্তির পাশাপাশি নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে উপস্থিত হয়ে নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবির প্রতি একাত্মতা পোষণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক তানজীম উদ্দীন খানসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতারা।

এ বিভাগের আরো খবর