বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘এরদোয়ানের সফর সম্পর্ক দৃঢ় করবে’

  •    
  • ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১১:১৯

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষ উপলক্ষে মার্চে বাংলাদেশ সফরে আসতে যাচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। এর মধ্য দিয়ে অর্থনীতি, প্রতিরক্ষা ও নানা খাতে দুই দেশের সম্পর্ক ভিন্ন উচ্চতায় পৌঁছবে বলে আশাবাদী তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোয়ান। তার এই সফর দুই দেশের মধ্যে ব্যবসাবাণিজ্য, বিনিয়োগ ও পারস্পরিক বোঝাপড়া দুই দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে বলে জানান আঙ্কারায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান।

বৃহস্পতিবার তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদুলু এজেন্সিকে দেয়া বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে মান্নান জানান, তুরস্কের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর চূড়ান্ত করতে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

অবশ্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, এরদোয়ান মার্চে আসার আগ্রহ দেখিয়েছেন। তার সূচি চূড়ান্ত হতে পারে ৭ ফেব্রুয়ারি।

তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জানালেন, উভয় দেশের শীর্ষ পর্যায়ের কূটনীতিকেরা এরই মধ্যে জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকলে আসছে মার্চে ঢাকা সফরে দেখা যেতে পারে এরদোয়ানকে।

তুরস্ক প্রেসিডেন্টের এই সফরের তাৎপর্য নিয়ে মান্নান বলেন, ‘এতে আসন্ন বছরগুলোতে অনেক সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হবে। রাজনৈতিক ও ব্যবসা বাণিজ্যে ভালো একটি বোঝপড়া তৈরি হবে।’

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সফরে এসে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিনে এরদোয়ান। ছবি: নিউজবাংলা

বাংলাদেশের এই রাষ্ট্রদূত জানান, তুরস্কের সঙ্গে বর্তমানে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হয় ১০০ কোটি ডলার। আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ দ্বিগুণে দাঁড়াতে পারে।

উভয় দেশের রাজনীতিক ও ব্যবসায়ীদের তীব্র আকাঙ্ক্ষাই এই লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে জানিয়ে বাংলাদেশের দূত বলেন, ‘এই লক্ষ্যে পৌঁছানোটা অসম্ভব নয়, এমনকি কোভিড-১৯-এর সময়েও। তুরস্ক থেকে বাংলাদেশে আমরা আরও বেশি বিনিয়োগ আশা করছি।’

বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা, অবকাঠামো নির্মাণ, পর্যটন ও শিক্ষা খাতগুলোতে বিনিয়োগে বাংলাদেশ এগিয়ে আসতে পারে বলে মনে করেন মান্নান। বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষাবিষয়ক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

‘প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে তুরস্কের উন্নতির প্রশংসা করে বাংলাদেশ। গত কয়েক বছর ধরে, তুরস্ক থেকে আমরা নানা জিনিস আমদানি করছি। ড্রোন তৈরির কথা বললে, তারা খুবই ভালো করছে। তুরস্কে যেসব ড্রোন তৈরি হচ্ছে, তা বিশ্বমানের। প্রতিরক্ষা শক্তির প্রয়োজনে আমরা ভবিষ্যতে এসব আধুনিক সরঞ্জামাদির বিষয়ে বিবেচনা করতে পারি।’

তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান।

দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে যৌথ মহড়ার সুযোগ তৈরি হতে পারে বলেও জানান মান্নান। এতে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা উপকৃত হতে পারে।

সামরিক ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে তুরস্ক থেকে বাংলাদেশ প্রয়োজনের সময় সহযোগিতা নিতে পারে বলে মনে করেন আঙ্কারায় নিযুক্ত দূত। এ বিষয়ে গত বছর লেবাননের বৈরুতের বিস্ফোরণের সময় বাংলাদেশের ক্ষতিগ্রস্ত জাহাজ মেরামতে তুরস্কের সহযোগিতার বিষয়টি তুলে ধরেন তিনি।

‘জাহাজটি মেরামতে আমরা তুরস্ক সরকার থেকে তাৎক্ষণিক সহযোগিতা পেয়েছি এবং জাহাজটিকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। সত্যিকার অর্থেই এটা ছিল বাংলাদেশের প্রতি তুরস্কের বড় ধরনের সহযোগিতা।’

মান্নানের মতে, বিমান পরিচালনা, আণবিক জীববিজ্ঞান, নৌ বা সামুদ্রিক বিজ্ঞানসহ বিজ্ঞান ও গবেষণায় বাংলাদেশ ও তুরস্ক একসঙ্গে কাজ করতে পারে। এ ছাড়া বাংলাদেশে সড়ক, মহাসড়ক বা সেতুর মতো অবকাঠামো নির্মাণেও তুরস্কের কাজ করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর