বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ইউল্যাব শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যা’: কারাগারে সাফায়েত

  •    
  • ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০১:১৫

বৃহস্পতিবার সাফায়েত আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করলে তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের হাকিম নিভানা খায়ের জেসী।

রাজধানীতে ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলার আসামি সাফায়েত জামিল আদালতে আত্মসমর্পণের পর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার সাফায়েত আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করলে জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের হাকিম নিভানা খায়ের জেসী।

মামলাটিতে রোববার (৩১ জানুয়ারি) ওই শিক্ষার্থীর দুই বন্ধু মর্তুজা রায়হান চৌধুরী ও নুহাত আলম তাফসীরের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

ওই দিনই চার জনকে আসামি করে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন নিহত তরুণীর বাবা। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও এক জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৮ জানুয়ারি বিকেলে মর্তুজা রায়হান ওই তরুণীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আসামি আরাফাতের বাসায় যান। সেখানে তার ব্যবহৃত স্কুটি রেখে আরাফাত, ওই তরুণী ও রায়হান এক সঙ্গে একটি উবার ভাড়া করে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরে অবস্থিত ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যান।

সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা এবং একজন সহপাঠি উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বসে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’ মদ্যপান করায়।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, মদ্যপানের এক পর্যায়ে তরুণী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে আরেক বন্ধু নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। রায়হান সেখানে তরুণীকে ধর্ষণ করেন।

পরে ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুই দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর তিনি মারা যান।

তবে ময়নাতদন্তে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

সোমবার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সেলিম রেজা বলেন, ‘জোরপূর্বক যৌন সঙ্গমের কোনো আলামত পাইনি। ধর্ষণ তো অনেক বড় জিনিস। তারপরও ডিএনএর নমুনা সংগ্রহ করেছি। কমপক্ষে এক মাস লাগবে রিপোর্ট পেতে। রিপোর্ট পেলে সব জানা যাবে। সুরতহালে বিষাক্ত মদের উপস্থিতির কথা বলা হয়েছিল। সে কারণে পরীক্ষার জন্য রক্তও নেয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন: হাসপাতালে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীর মৃত্যু, ধর্ষণের অভিযোগ

এ বিভাগের আরো খবর