রাজধানীর নিউ মার্কেট, তুরাগ ও শাহ আলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ভিওআইপি সরঞ্জামসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিন হাজার চারশ টেলিটক সিম উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার দুপুর থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত র্যাব-১০ এর একটি দল রাজধানীর নিউমার্কেট, তুরাগ ও শাহ আলী থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার চার জন হলেন কাজী এম এম মাহামুদ ওরফে ছোটন, রাকিব হাসান ও বাবর উদ্দিন।
র্যাব বলছে, চক্রটি অবৈধ টেলিযোগাযোগ স্থাপনার মাধ্যমে প্রতিদিন আনুমানিক প্রায় ছয় লাখ আন্তর্জাতিক কল মিনিট অবৈধভাবে বাংলাদেশে টার্মিনেট করছে।
চক্রটির অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসার কারণে সরকার দিনে প্রায় তিন লাখ টাকা এবং বছরে প্রায় ১০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা সরকারের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাব-১০ এর অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান।
তিনি বলেন, গত ৩ ফেব্রুয়ারি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা নিউমার্কেট থানার কাটান এলিফ্যান্ট রোডের ২৭৮/৩ সরদার ভিলার দ্বিতীয় তলার তালহা এন্টারপ্রাইজ নামে প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালান।
সেখান থেকে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় চারটি সিম বক্স ডিভাইস দুটি মোবাইল ফোনসহ রাকিব হাসান ও বাবর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পরে তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তুরাগ থানার রমজান মার্কেট ভাবনার টেকের একটি বাড়িতে যায় র্যাবের দল। জনৈক শামসুল আলমের বাড়ির একটি কক্ষ ভিওআইপির নিয়ন্ত্রণ কক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। সেখান থেকে আটক করা হয় কাজী এম এম মাহামুদ ছোটনকে, যাকে এই চক্রের হোতা বলছে র্যব।
তাদের কাছ থেকে ভিওআইপি ব্যবসায় ব্যবহৃত ১৯টি সিম বক্স ডিভাইস, ৪১৬টি জিএসএম এন্টেনা, ৩৪০০টি টেলিটক সিম, সাতটি মিনি কম্পিউটার, তিনটি ওয়ারলেস রাউটার, পাঁচটি বাংলা লায়ন মডেম ও রাউটার, তিনটি ল্যাপটপ, একটি ল্যাপটপ কুলার, ১০টি বিভিন্ন চার্জার, ছয়টি ইউ এস বি মডেম, ১২টি পাওয়ার ক্যাবল, ২৪ টি কনসেল ক্যাবল, তিনটি থ্রি-প্ল্যাগ, চারটি মাল্টিপ্ল্যাগ, একটি মাউস এবং চারটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১০ এর সিও বলেন, চক্রটি প্রতিদিন আনুমানিক প্রায় ছয় লাখ আন্তর্জাতিক কল মিনিট অবৈধভাবে দেশে টার্মিনেট করছিল।
চক্রটি কীভাবে সরকারি প্রতিষ্ঠান টেলিটকের এতগুলো সিম কিনেছিল- জানতে চাইলে র্যাব-১০ প্রধান বলেন, এই বিষয়টি বিটিআরসির নজরে এসেছে। এটা নিয়ে গভীর তদন্ত করা হবে।