রাজধানী ঢাকার বায়ু দূষণ রোধে শহরের প্রবেশমুখের সবগুলো পয়েন্টে নিয়মিত পানি ছিটাতে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
গাবতলী, যাত্রাবাড়ি, পূর্বাচল, কেরাণীগঞ্জ, টঙ্গীসহ বিভিন্ন পয়েন্টে এ পানি ছিটাতে বলা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের প্রতি এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বায়ু দূষণরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা চেয়ে করা মামলায় এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আমাতুল করিম। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সাঈদ আহমেদ রাজা ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে আইনজীবী তৌফিক ইনাম টিপু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলি এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ নিউজবাংলাকে বলেন, বায়ু দূষণরোধে হাইকোর্ট তিন দফা নির্দেশনা দিয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার সড়কে উপর থেকে পানি ছিটাতে বলা হয়েছে, যাতে সড়কের পাশের ছোটখাটো গাছে জমে থাকা ধুলা-ময়লা পরিষ্কার হয়।
এ ছাড়া পানি ছিটানোর ক্ষেত্রে পানির সংকট তৈরি হলে সিটি করপোরেশনকে পানি সরবরাহ করতে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন।
আদেশ পাওয়ার এক মাসের মধ্যে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে আদালতে হলফনামা দিতে বলা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষের আইনজীবী আমাতুল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে আমরা একটি লিখিত আবেদন দাখিল করে বলেছি, রাজধানীর বায়ু দূষণের কারণ সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি, যত্রতত্র নির্মাণ সামগ্রী রেখে দেয়া। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণে ঢাকার বায়ু নষ্ট হচ্ছে। এজন্য একটি মনিটরিং কমিটি গঠনের কথা বলেছি। আদালত বলেছেন, যেহেতু একটি কমিটি আছে আপাতত তার দরকার পড়ছে না। পরে আদালত সবপক্ষের শুনানি নিয়ে ফায়ার সার্ভিসকে ঢাকার প্রবেশমুখে উপর থেকে পানি ছিটাতে নির্দেশ দিয়েছেন।’
ঢাকার বায়ু দূষণ নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে ২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে এ রিট করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে একই বছরের ২৮ জানুয়ারি আদালত রুলসহ আদেশ দেন। পরে রাজধানীতে বায়ুদূষণ রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে সম্পূরক আবেদন করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ। তারই ধারাবাহিকতায় মামলাটি শুনানির জন্য আসে। পরে আদালত শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।