ব্লগার ও বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় আসামিদের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ দিয়েছেন বিচারক। উগ্র মতাদর্শে বিশ্বাসী ছয় আসামির সাজা হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত ১৬ ফেব্রুয়ারি জানাবেন তিনি।
ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালতে বৃহস্পতিবার যুক্তি উপস্থাপন শেষে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বেলা দুইটার দিকে শুরু হয়ে সাড়ে তিন ঘণ্টা চলে যুক্তিতর্ক।
আসামিদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনজীবী এম নুরুল ইসলাম। তিনি তার মক্কেলদের নির্দোষ দাবি করে সবার খালাস চান।
আত্মপক্ষ সমর্থনকারী আসামিরা হলেন আবু সিদ্দিক সোহেল, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, আরাফাত রহমান সাজ্জাদ ওরফে শামস ও শাফিউর রহমান ফারাবী।
অপর দুই আসামি বরখাস্ত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ হয়নি।
চার আসামির উপস্থিতিতে বুধবার যুক্তি উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও ট্রাইব্যুনালের পিপি গোলাম ছারোয়ার খান জাকির। তিনি আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন।
এদিন আসামি আবু সিদ্দিক সোহেলের পক্ষে যুক্তি উপস্থান করেন খায়রুল ইসলাম লিটন। দাবি করেন, সোহেলের বিরুদ্ধে আনা অপরাধ প্রমাণ হয়নি।
৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্য শেষে ৩ ফেব্রুয়ারি যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করেন আদালত।
২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দেশে আসেন যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী অভিজিৎ রায়। ওই রাতে বইমেলা থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় অভিজিৎ ও তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ বন্যার ওপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা।
হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন অভিজিৎ। গুরুতর আহত হন বন্যা।
এ ঘটনায় অভিজিতের বাবা অজয় রায় শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন। ২০১৯ সালের ১ আগস্ট ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল।
২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর অভিজিতের বাবা অধ্যাপক অজয় রায়ের সাক্ষ্য নেওয়ার মধ্য দিয়ে এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।