বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তাদের ভেংচি কাটছে করোনার ভ্যাকসিন: তথ্যমন্ত্রী

  •    
  • ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৩:৫৩

‘যখন ভ্যাকসিন এলো, তখন আবার অপপ্রচার করা শুরু হলো, এই ভ্যাকসিন জনগণ নেবে না। এটার ওপর আস্থা নেই। প্রথমে এমপি-মন্ত্রীদের দেয়ার কথা বলা হলো। এখন দেখা যাচ্ছে, এই ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য যে পরিমাণ উৎসাহ দেখা দিয়েছে, এতে মনে হচ্ছে যারা এই সমস্যার সমালোচনা করেছিলেন, তাদের দিকে তাকিয়ে ভ্যাকসিনটা ভেংচি কেটেছে।’

করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়ে বিএনপিসহ সমালোচনাকারীদের একহাত নিলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। বলেছেন, তারা জনগণকে টিকা নিতে নিরুৎসাহিত করলেও জনগণ ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছে।

সরকারের মুখপাত্র বলেন, টিকা নিতে সাধারণ মানুষের আগ্রহ দেখে তার মনে হচ্ছে, ‘সমালোচনাকারীদের দিকে তাকিয়ে ভ্যাকসিন যেন ভেংচি কেটেছে।’

বৃহস্পতিবার সকালে মন্ত্রী সচিবালয়ে কথা বলছিলেন বাংলাদেশি কোম্পানির উদ্ভাবিত বঙ্গভ্যাক্স টিকার আবিষ্কারকদের সঙ্গে।

গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের উদ্ভাবিত এই টিকাকে মানুষের দেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তবে এখনো অনুমোদন মেলেনি।

করোনার টিকা নিয়ে বিএনপি ও সমমনাদের সমালোচনাকে ইঙ্গিত করে মন্ত্রী বলেন, ‘অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন আমরা সঠিক সময়ে ভ্যাকসিন আনতে পারব না। সরকার জানুয়ারির মধ্যে টিকা আনার ঘোষণা দিয়ে তা ঠিক সময়ে আনতে পেরেছে।

‘যখন ভ্যাকসিন এলো, তখন আবার অপপ্রচার করা শুরু হলো, এই ভ্যাকসিন জনগণ নেবে না। এটার ওপর আস্থা নেই। প্রথমে এমপি-মন্ত্রীদের দেয়ার কথা বলা হলো। এখন দেখা যাচ্ছে, এই ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য যে পরিমাণ উৎসাহ দেখা দিয়েছে, এতে মনে হচ্ছে যারা এই সমস্যার সমালোচনা করেছিলেন, তাদের দিকে তাকিয়ে ভ্যাকসিনটা ভেংচি কেটেছে।’

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মডার্না, ফাইজার, স্পুৎনিক, সিনোভ্যাক্স, ও অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা প্রয়োগ শুরু হয়েছে। তবে বাংলাদেশ অপেক্ষা করেছে অক্সফোর্ড উদ্ভাবিত টিকার জন্য, যেটি আনা হয়েছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে।

সিরাম থেকে বাংলাদেশ কিনেছে ৩ কোটি ৪০ লাখ টিকা। আর ভারত সরকার উপহার পাঠিয়েছে আওর ২০ লাখ টিকা।

উপহারের টিকা দেশে আসে গত ২১ জানুয়ারি, আর বাংলাদেশের কেনা টিকার মধ্যে প্রথম চালানের ৫০ লাখ আসে ২৫ জানুয়ারি।

বিএনপির মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী সিরামের টিকা নিয়ে ব্যাপক সন্দিহান। তার দাবি, বিশ্বের সবচেয়ে বড় টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটির এই টিকা নিয়ে মানুষ মারা যাবে।

তিনি এমনও বক্তব্য দেন যে টিকা দিয়ে সরকার বিএনপিকে মেরে ফেলতে চাইছে।

২৭ জানুয়ারি টিকা কার্যক্রম উদ্বোধনের পর এখন পর্যন্ত প্রায় ছয়শ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। কিন্তু কারও শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি। যদিও টিকার পর কারও কারও মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া একটি স্বাভাবিক ঘটনা।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, টিকা নেয়ার পর ক্ষেত্রবিশেষে জ্বর আসতে পারে, জ্বলুনি হতে পারে। তবে শতকরা হিসাবে এগুলো খুবই নগণ্য।

বিএনপি নেতা রিজভীর পাশাপাশি অনলাইনে দলটির সমর্থকরাও এই টিকা নিয়ে ব্যাপক নেতিবাচক প্রচার চালিয়েছেন। তারা দাবি করেছেন, দেশে কেউ এই টিকা নেবে না।

তবে ৭ ফেব্রুয়ারি গণপ্রয়োগকে সামনে রেখে অনলাইনে যে নিবন্ধন হচ্ছে, তাতে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘করোনা ও টিকা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে বাংলাদেশে। অনেকে মনে করে ছিল হাজার হাজার মানুষের লাশ বাংলাদেশের রাস্তায় পড়ে থাকবে। দেশের কিছু মানুষ যারা নিজেদের বুদ্ধিজীবী বলে পরিচয় দেন, তারাও এই আশঙ্কা করেছিলেন। বিএনপি-জামায়াত করেছিল। কিছু বিদেশি মিডিয়া ও তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে ছিল।’

গ্লোব উদ্ভাবিত বঙ্গভ্যাকস নিয়ে নিজের আশাবাদ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আশা করছি খুব সহসা এই ভ্যাকসিন জনগণের জন্য আমরা দিতে সক্ষম হব সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।’

সরকার গ্লোবকে সব দিক থেকে সহযোগিতা করবে বলেও জানান মন্ত্রী।

এই মতবিনিময়ের আয়োজন করা হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে।

এ বিভাগের আরো খবর