ওয়াসার কাছ থেকে দায়িত্ব নেয়ার পর গত এক মাসে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন তিনটি খাল ও দুটি বক্স কালভার্ট থেকে ৫৭ হাজার টন বর্জ্য ও মাটি অপসারণ করেছে সংস্থাটি।
বুধবার ডিএসসিসি মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস শ্যামপুর খালে চলমান বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
গত ৩১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা শহরের পানি নিষ্কাশনের দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসা থেকে দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ওই দিনই ডিএসসিসি মেয়র আগামী বর্ষা মৌসুমকে সামনে রেখে পান্থপথ ও সেগুনবাগিচার দুটি বক্স কালভার্টসহ জিরানি, মান্ডা ও শ্যামপুর খাল থেকে বর্জ্য অপসারণের জন্য ক্র্যাশ প্রোগ্রাম চালুর ঘোষণা দেন।
সেই ঘোষণা অনুসারে পান্থপথ বক্স কালভার্ট থেকে ২ জানুয়ারি আর সেগুনবাগিচা বক্স কালভার্ট থেকে বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু হয় ৬ জানুয়ারি থেকে। একই সময়ে শ্যামপুরসহ উল্লিখিত দুটি খাল থেকে বর্জ্য অপসারণের পাশাপাশি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সীমানা নির্ধারণের কাজ শুরু করে সংস্থাটি।
বুধবার সকালে খাল ও বক্স কালভার্টগুলো থেকে বর্জ্য অপসারণ প্রক্রিয়াকে একটা ‘দুরূহ কাজ’ অভিহিত করে মেয়র তাপস বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নিয়েছি ৩০ দিনের মতো হলো। এরই মধ্যে ৫৭ হাজার টন বর্জ্য আমরা অপসারণ করেছি। ধারণা করছি, আগামী দুই মাসে তা দু্ই লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে।’
আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই যাতে সব খাল পরিষ্কার করা যায়, খাল হয়ে পানির প্রবাহ যাতে ঠিক থাকে, সে ব্যাপারে তারা অগ্রাধিকার দিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন মেয়র।
জানান, ক্র্যাশ প্রোগ্রাম নেয়ার শুরুতে কাজটির ব্যাপকতা ও বর্জ্য পরিস্থিতির প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে তাদের তেমন ধারণা ছিল না। খালগুলো নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে যে অবস্থা এখন দাঁড়িয়েছে তা ভয়াবহ।
তারপরেও বর্জ্য অপসারণ ও সীমানা নির্ধারণের কাজটি একবার করে ফেলতে পারলে ভবিষ্যতে রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়টি অনেকটা সহজ হয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনের সময় মেয়র তাপসের সঙ্গে দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর বদরুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউর রহমান ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।