বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টাকা খেয়ে নিউজ, আল জাজিরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: মোমেন

  •    
  • ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৬:২২

‘শুনেছি, টাকাটুকা খেয়ে এই নিউজ করেছে। তারা নাকি পেইড নিউজ করে থাকে। কাতার থেকে সম্প্রচার করা হলেও চ্যানেলটির ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা হয় লন্ডন থেকে। এদের কাজই হলো মুসলমান দেশগুলোর ভুল খুঁজে খুঁজে বের করা। আমরা তাদের প্রতিবেদনকে প্রত্যাখ্যান করেছি। এখন আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছি।’

বাংলাদেশকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ প্রতিবেদন প্রকাশ করায় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছে সরকার।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, যে সংবাদ করা হয়েছে, তার পেছনে অর্থের লেনদেনের কথা জানতে পেরেছেন তারা।

বুধবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘শুনেছি টাকাটুকা খেয়ে এই নিউজ করেছে। তারা নাকি পেইড নিউজ করে থাকে। কাতার থেকে সম্প্রচার করা হলেও চ্যানেলটির ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা হয় লন্ডন থেকে। এদের কাজই হলো মুসলমান দেশগুলোর ভুল খুঁজে খুঁজে বের করা।’

‘আমরা তাদের প্রতিবেদনকে প্রত্যাখ্যান করেছি। এখন আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবছি।’

আল জাজিরার বিরুদ্ধে কোথায় কীভাবে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়, সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। আর মন্ত্রী এই বিষয়ে কিছু বলেনওনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আল জাজিরা বানোয়াট প্রতিবেদন ছেপেছে। তারা প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রীর দেহরক্ষী হিসেবে যাদের চিহ্নিত করেছে, তারা কখনোই প্রধানমন্ত্রীর দেহরক্ষী ছিলেন না। দলীয় নেতাকর্মীরাই দেহরক্ষী। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার সময়েই তা প্রমাণ হয়েছে।’

এই প্রতিবেদনের পেছনে ড. কামাল হোসেনের জামাতা ডেভিড বার্গম্যানের হাত রয়েছে বলেও জানতে পেরেছেন মন্ত্রী। বলেন, ‘শুনছি এর সঙ্গে আমাদের জামাইও নাকি আছে।’

ওই প্রতিবেদনে ডেভিড বার্গম্যানের সাক্ষাৎকার প্রচার করা হয়েছে, যিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের কট্টর সমালোচকদের একজন। তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সাজাও দিয়েছিল।

সোমবার বাংলাদেশ সময় বিকেলে আল জাজিরায় সম্প্রচার করা হয় ‘গ্যাং ক্লোজ টু বাংলাদেশ পিএম এক্সট্র্যাক্টস ব্রাইবস ফর স্টেট কন্ট্রাক্টস’ নামের প্রতিবেদনটি।

বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে বলে জানানো হয় সোমবার রাত দেড়টার দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিবৃতিতে।

এতে বলা হয়, ‘নিউজটি বাংলাদেশ সরকারের গোচরীভূত হয়েছে, যা পুরোপুরি অসত্য, বানোয়াট ও মানহানিকর। রাষ্ট্র ও জনগণের প্রগতিশীল এবং ধর্মনিরপেক্ষ নীতির বিরোধিতা করে জামায়াতে ইসলামী ও চরমপন্থী গোষ্ঠীর দোসরদের অনুপ্রেরণায় সংবাদমাধ্যমটির এই প্রোপাগান্ডা, যা মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়।’

মঙ্গলবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও প্রতিবেদনটিকে ‘উদ্দেশ্যমূলক’ অভিহিত করা হয়।

‘সাম্প্রতিক সময়ে যারা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেষ্টা চালাচ্ছে এটি মূলত তাদেরই কাজ। এই প্রতিবেদনের ধারা বর্ণনাকারী ডেভিড বার্গম্যান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাজাপ্রাপ্ত। প্রতিবেদনে সামি হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া জুলকারনাইন সায়ের খান মাদকাসক্তির কারণে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। এরা দুইজন এবং নেত্র নিউজের প্রধান সম্পাদক তাসনিম খলিল মিলে দুরভিসন্ধি বাস্তবায়নে এই প্রতিবেদনের পেছনে কাজ করেছেন, যা স্পষ্ট।’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এটা পরিষ্কার নয়, কেন আল জাজিরার মতো একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম তাদের সঙ্গে কাজ করছে, যাদের সুস্পষ্ট ক্রিমিনাল রেকর্ড রয়েছে। বিভিন্ন দাপ্তরিক, সামাজিক ও ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানের টুকরো টুকরো ভিডিও প্রযুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে সংযোগহীন নানা ঘটনা নেপথ্য কণ্ঠের মাধ্যমে একত্রে সম্পাদনা করা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর