যেকোনো দুর্যোগ, সময়-অসময়ে অসহায় মানুষের পাশে থাকা বিএনপির ধর্ম বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বলেছেন, নির্যাতন করে, কষ্ট দিয়েও বিএনপিকে জনগণের কাছ থেকে সরানো যাবে না। জনগণ যখন কষ্ট পায়, তাদের পাশে ছুটে যায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এটাই বিএনপি নেতাকর্মীদের ধর্ম।
বুধবার ঢাকা জেলার দোহার-নবাবগঞ্জে অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণে এ কথা বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম হামলা-মামলা অব্যাহত রয়েছে। আমরা প্রচণ্ড চাপের মধ্যে আছি। সরকারের অত্যাচারের মধ্যে আছি। তারপরও কিছুদিন আগে নবাবগঞ্জে বন্যায় মানুষ কষ্টে ছিলেন, তখন খন্দকার আবু আশফাকের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ দিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘এখনো শৈত্যপ্রবাহের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। বিএনপি সব সময় জনগণের পক্ষে, দরিদ্র মানুষের পক্ষে ছিল। নির্যাতিত দরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো বিএনপির ধর্ম।’
বিএনপির এই নেতা সরকারের অপকর্মের সমালোচনা এখন দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন।
বলেন, ‘সরকার দলের এমপি-মন্ত্রী ও নেতাকর্মীরা আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ-যুবলীগ মালয়েশিয়ায় বাড়ি কিনেছেন এটাই সরকারপ্রধানের তৃপ্তি।’
রিজভী বলেন, ‘এই দোহার-নবাবগঞ্জে যতটুকু উন্নয়ন, তা হয়েছে বিএনপির সময়ে। আওয়ামী লীগ কিছুই করেনি, শুধু লুটপাট করেছে। তাদের উন্নয়ন বলতে ফ্লাইওভার। এসব করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শত শত কোটি টাকা লুটপাট করেছে। কোটি কোটি টাকা পাচার করছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলকে ধ্বংস করে দিয়েছেন। কারাগারে নিয়ে গেছেন। আপনি বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর জুলুম-নির্যাতন করেছেন। তিনি জনগণের ভোট কেড়ে নিয়েছেন, নির্বাচন কেড়ে নিয়েছেন, জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন।’
বিএনপি নেতাকর্মীরা কথা বললেই কারাগারে ঢোকানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী। বলেন, ‘কথা বললে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হবে। মিছিল করলে আটক করা হবে। এত কিছু জুলুম সহ্য করেও আমরা বিএনপি নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের পাশে আছি। আমাদের দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে সরানো যাবে না।’