সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে নাশকতা, গাড়ি ভাঙচুর ও বাসে আগুন দেওয়ার মামলায় বিএনপি নেতা ও সাবেক সাংসদ সালাহ উদ্দিন আহমেদকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
ঢাকার সপ্তম যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ মো. আফতাবুজ্জামানের আদালতে আত্মসমর্পণ করে বুধবার জামিনের আবেদন করেন সালাহ উদ্দিন।
শুনানি শেষে বিচারক ঢাকা-৫ আসনের সাবেক এ সাংসদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রাজধানীর ওয়ারী থানায় ২০১৫ সালের ৩০ জানুয়ারি পুলিশের করা মামলায় সাবেক এই সাংসদ এতদিন পলাতক ছিলেন। এই মামলায় সালাহ উদ্দিনসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
সালাহ উদ্দিনের পক্ষে এ দিন জামিন আবেদনের শুনানি করেন আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার।
তিনি শুনানিতে বলেন, ‘আসামি এক জন সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা। এই মামলার এজাহারে তার নাম ছিল না। তার নাম পরে অভিযোগপত্রে অর্ন্তভুক্ত করা হয়। তাই তিনি এ মামলায় জামিন পাওয়ার হকদার।’
মামলার অভিযোগে বলা হয়, সালাহ উদ্দিনের নির্দেশে অন্য আসামিরা ২০১৫ সালের ৩০ জানুয়ারি দুপুরে রাজধানীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের গুলিস্তান টোল প্লাজার সামনে একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রল বোমা দিয়ে আগুন দেন ও গাড়ি ভাঙচুর করেন।
এ মামলায় তদন্ত শেষে ওয়ারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ আলম ২০১৫ সালের ১২ আগস্ট সালাহ উদ্দিনসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এরপর থেকে পলাতক ছিলেন সালাহ উদ্দিন।