বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দুর্নীতির খবর প্রচার: দুই সাংবাদিককে কাফনের কাপড়

  •    
  • ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:৪৪

এ অভিযোগ জানিয়ে করা জিডিতে বলা হয়েছে, গত ১১ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বৈশাখী টেলিভিশনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে পাঁচ পর্বের অনুসন্ধানী প্রতিবদেন প্রচারিত হয়। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে অফিসের ঠিকানায় প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের খামে দুটি চিঠি আসে।  

বৈশাখী টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ও সাংবাদিক কাজী ফরিদকে কাফনের কাপড় পাঠিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা বলছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পৃথক দুটি খামে ওই কাফনের কাপড় ও চিঠি পেয়েছেন।

সোমবার এ অভিযোগ জানিয়ে রাজধানীর বনানী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন কাজী ফরিদ।

জিডিতে বলা হয়েছে, গত ১১ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বৈশাখী টেলিভিশনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে পাঁচ পর্বের অনুসন্ধানী প্রতিবদেন প্রচারিত হয়। সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে অফিসের ঠিকানায় প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের খামে দুটি চিঠি আসে।

অভিযোগে বলা হয়, চিঠির প্রেরকের জায়গায় লেখা মো. সুমন ইসলাম, সি. সহকারী প্রক্টর, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর। মোবাইল নম্বর: ০১৭১২৬৮৩৮০৪। দুটি চিঠির একটি কাজী ফরিদের নামে। অন্যটি সাইফুল ইসলামের নামে।

অভিযোগে জানানো হয়, দুটি খামের ভিতরে সাদা কাগজে টাইপ করা চিঠিতে লেখা আছে ‘বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বজন শ্রদ্ধেয় মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ স্যার এবং সফল প্রক্টর তায়েহীদ জামাল শিপু স্যারের মতো সৎ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপ্রপ্রচারের দাঁতভাঙা জবাব ও করুণ পরিণতির জন্য তৈরি থাক, রাস্কেল।’

জিডিতে সাংবাদিক কাজী ফরিদ উল্লেখ করেন, দুটি খামে দুজনের নামে পাঠানো দুটি চিঠির ভাষা একই। শুধু তাই নয়, দুটি খামের মধ্যে চিঠির সঙ্গে এক টুকরো করে কাফনের কাপড় পাঠানো হয়েছে। চিঠি হাতে পাওয়ার পর তিনি ও বৈশাখী টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক সাইফুল ইসলাম চরম উদ্বিগ্ন ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

চিঠির প্রেরকের যে মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়েছে তাতে বেশ কয়েকবার ফোন করেছে নিউজবাংলা। নম্বরটি প্রত্যেকবারই বন্ধ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম মিয়া বলেন, ‘বিষয়টির তদন্ত চলছে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর