ক্যাসিনো খেলা অপরাধ নয় বলে দাবি করেছেন ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার জয় গোপাল সরকারের আইনজীবী ও সাবেক আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
মঙ্গলবার ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয় গোপালের ছয় মামলার জামিন আবেদনের শুনানিতে এ দাবি করেন তিনি।।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ শুনানি হয়।
শুনানিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবীকে উদ্দেশ করে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্যাসিনো খেলা কোনো অপরাধ না। এসব ক্লাবে যেখানে হাউজি খেলার সুযোগ আছে, সেখানে ক্যাসিনো নতুন আবিষ্কার। ক্যাসিনোও একটা জুয়া খেলা। এটাও একটা গেম।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্যাসিনো খেলা অবৈধ, আইনের কোথায় আছে সেটা আপনি দেখান। গ্যাম্বলিং অ্যাক্টে আছে কি না সেটা দেখান, এর সাজা কী সেটা দেখান।’
এ সময় দুদকের আইনজীবী বলেন, ‘গ্যাম্বলিং অ্যাক্টে আছে আমি দেখাব।’
পরে আদালত জুয়া, ক্যাসিনো, হাউজির সঙ্গে মানি লন্ডারিংয়ের আইনগত বিষয় জানতে চেয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শুনানি স্থগিত করে।
আদালতে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয় গোপালের জামিনের পক্ষে শুনানিতে আরও ছিলেন আইনজীবী মুনমুন নাহার। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও শাহীন আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলার সময় গত বছরের ১৩ জানুয়ারি কেরাণীগঞ্জের একটি ভবন থেকে এক সহযোগীসহ দুই ভাই এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। পরে গেন্ডারিয়া থানায় মানি লন্ডারিং আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়।
এনু ও রুপন ভূঁইয়ার আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জয় গোপাল সরকারের নাম উঠে এলে সিআইডি ১৩ জুলাই লালবাগ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
পর দিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর তার জামিন চেয়ে আবেদন করেন গোপালের আইনজীবীরা।
জয় গোপাল সরকার ছয় মামলায় জামিন আবেদন করেন। ওই মামলার শুনানিতে আদালত সোমবার আসামি পক্ষের কাছে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের গঠনতন্ত্র, কমিটি ও অডিট রিপোর্ট চেয়েছিল। সে অনুসারে তারা মঙ্গলবার এসব বিষয়ে প্রতিবেদন দেন।