ছেঁড়াদ্বীপে যেতে কোস্টগার্ডের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে সেন্টমার্টিনে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে হোটেল ও পরিবহন মালিকেরা।
বিষয়টি মঙ্গলবার নিশ্চিত করেছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষিদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমদ।
তিনি জানান, পর্যটকদের কথা বিবেচনার পাশাপাশি টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের আশ্বাসে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনা করেই স্থানীয়দের ধর্মঘট প্রত্যাহার করার অনুরোধ করা হয়েছে।’
ছেড়াদ্বীপে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দেওয়ায় সংগঠনগুলো ধর্মঘট প্রত্যাহার করে।
গত ৩১ জানুয়ারি সকালে ধর্মঘট শুরু করে হোটেল ও পরিবহন মালিক, সেন্টমার্টিন সার্ভিস বোট মালিক সমিতি, স্পিডবোট চালক সমিতি, গামবোট চালক সমিতি, ইজিবাইক চালক সমিতি, দোকানি, বাজার কমিটি, হোটেল-কটেজ মালিক সমিতিসহ আরও অনেকে।
আর এতে দ্বীপে যান চলাচল, দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁসহ সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সেন্টমার্টিন স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান জানিয়েছিলেন, তারা সরকারি নির্দেশনা পালন করছেন। ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে ছেঁড়াদ্বীপে পর্যটক যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর মধ্যেও কিছু পর্যটক তাদের অগোচরে সেখানে গিয়েছেন। এখন আর কোনো পর্যটককেই ছেঁড়াদ্বীপে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর দাবি, সেন্টমার্টিন দ্বীপের সাড়ে ছয় হাজারের বেশি মানুষের রোজগার হয় পর্যটন মৌসুমে। বছরের চার মাস দ্বীপের মানুষ পর্যটকদের পরিবহনের মাধ্যমে সংসার চালায়। সেখানে ছেঁড়াদ্বীপে পর্যটক যাওয়া বন্ধ করলে বেকার হয়ে পড়বেন অনেকেই।