চাকরি দেয়ার নাম করে হাতিয়ে নিয়েছে অন্তত দেড় কোটি টাকা। এমন কি কাউকে আবার দিয়েছেন ভুয়া নিয়োগপত্র। বেতন ধরা হয়েছে মাসে ৩০ হাজার টাকা। মাস শেষে ব্যাংকে বেতন তুলতে গিয়ে শোনেন এ নামে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই।
এমন ভুয়া কোম্পানিতে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন ও চাকরি দিয়ে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় মাহিয়া ফাউন্ডেশন নামের এক ভুয়া কোম্পানির দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেপ্তার ১০ জনকে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার সকালে তাদের গ্রেপ্তার করে বাড্ডা থানা পুলিশ বিকেলে আদালতে হাজির করে সাত দিন করে রিমান্ড চায়। ঢাকার মুখ্যমহানগর আদালতের হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস প্রত্যেককে দুই দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করলেও আদালত তা বাতিল করে দেন।
আসামিরা হলেন বাবুল আক্তার, আহম্মদ আলী, মেহেদী হাসান, মিজানুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মেহেদী হাসান, গোলাম রায়হান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মনির উদ্দিন খালেদ ও নিগার উম্মে সালমা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, রাজধানীর বাড্ডা ধানাধীন আফতাবনগরে ‘নুর টাওয়ার ২৯/৩১, লেবেল-৮, ফ্লোর ৯ এফ’ এর অফিস কক্ষের ভিতরে মাহিয়া ফাউন্ডেশন নামের ওই প্রতিষ্ঠানের অফিস করে। অভিযুক্তরা বিভিন্ন জেলার শিক্ষিত বেকার যুবকদের উচ্চ বেতনের চাকরির লোভ দেখিয়ে চার মাস ধরে বায়োডাটা সংগ্রহ করেছেন।
গত বছরের ২০ ডিসেম্বর কক্সবাজার জেলার মাহিয়া ফান্ডেশনের উখিয়া শাখার মনির উদ্দিন খালেদ ও তার স্ত্রী নিগার উম্মে সালমা চাকরির বায়োডাটা নেয়। চাকরির জন্য তাদের কাছ থেকে ৬৫ হাজার টাকা করে নেয় প্রতারক চক্র। ৫০ হাজার টাকা চাকরি ফেরত দেয়ার আশ্বাস দেয়। বাকি ১৫ হাজার টাকা ঘুষ হিসেবে নেয়।
পরে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র ও আইডি কার্ড দেয়া হয়। তাদের বেতন ধরা হয় মাসিক ৩০ হাজার টাকা। কিন্তু বেতনের টাকা তুলতে গেলে উখিয়ায় শাখায় যোগাযোগ করতে বলে। পরে অফিসে যোগাযোগ করলে তা তালাবদ্ধ পায়।
এজাহারে আরও বলা হয়, মাহিয়া ফান্ডেশনের প্রতারণার ফাঁদ হিসেবে অনলাইন প্লাটফর্ম বিডিজবস ওয়েবসাইটে বিভিন্ন অকর্ষণীয় ও উচ্চ বেতনের ৫১০ জন লোক নিয়েগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া আসামিরা সাত হাজার লোকের সিভি সংগ্রহ করেছে।
এই ঘটনায় এ এম এইচ শওকত রেজা নামের এক ভুক্তভোগী গতকাল সোমবার বাড্ডা থানায় প্রতারণার মামলা করেন।