বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মিয়ানমারে ক্যু: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বৈঠক অনিশ্চিত

  •    
  • ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২০:১১

বাংলাদেশ পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘মিয়ানমারের নতুন সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক কোনো যোগাযোগ এখনও হয়নি। তাই ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের নির্ধারিত যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।’

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে চীনের মধ্যস্ততায় আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি হতে যাওয়া যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই অনিশ্চয়তার কথা জানান পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।

‘মিয়ানমারের নতুন সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের আনুষ্ঠানিক কোনো যোগাযোগ এখনও হয়নি। তাই ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের নির্ধারিত যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।’

সচিব জানান, এখন সেখানে পরিবর্তিত একটি সরকার। বৈঠকের বিষয়টি বুধবার জানা যেতে পারে। এ বিষয়ে চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপ হয়েছে।

মিয়ানমারে যারাই ক্ষমতা থাকুক না কেন দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক থাকবে জানিয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘মিয়ানমারের বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।

‘সেখানে তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। সেখানে চলাচলে বিধিনিষেধ আছে। টেলিফোন বা ইন্টারনেটেও বিধিনিষেধ আছে। তবে সেখান থেকে আমরা ই-মেইল পেয়েছি।’

গত নভেম্বরে মিয়ানমারে জাতীয় নির্বাচনে গণতন্ত্রপন্থি এনএলডির কাছে সেনা-সমর্থিত ইউএসডিপির ভরাডুবির পর থেকেই মিয়ানমারে সেনা-অভ্যুত্থানের শঙ্কা তৈরি হয়। সোমবার ভোরে সে শঙ্কা বাস্তবে রূপ নেয়।

গ্রেপ্তার করা হয় অং সান সু চিসহ এনএলডির অন্তত ৪৫ শীর্ষ নেতাকে। মঙ্গলবার রাজধানী নেপিদোতে গৃহবন্দি করা হয়েছে চার শতাধিক এমপিকে।

গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত সংসদ বাতিল করে মিয়ানমারে সেনা-অভ্যুত্থানে নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা বিশ্ব। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ডাকা হয়েছে জরুরি বৈঠক।

বাংলাদেশের চাওয়া, যুক্তরাষ্ট্র সময় মঙ্গলবার অনুষ্ঠেয় এই জরুরি বৈঠকেও যাতে তোলা হয় রোহিঙ্গা ইস্যু।

এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে যে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে, সেখানে মিয়ানমারের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার বা অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা প্রাধান্য পাবে।

‘তবে আমরা চাইব, রোহিঙ্গা ইস্যুও যেন সেখানে আলোচনা হয়। আমরা আমাদের জাতিসংঘে আমাদের রাষ্ট্রদূতকে বলেছি, বৈঠকে সাম্প্রতিক ইস্যুটির প্রাধান্যে যেন রোহিঙ্গা ইস্যু চাপা পরে না যায়।’

মিয়ানমারে ক্ষমতার রদবদলে দেশটির সঙ্গে কাজ করতে অসুবিধা হবে না বলেও মনে করেন পররাষ্ট্র সচিব। বলেন, ‘৬০-৭০ বছরের মধ্যে অধিকাংশ সময়ে দেশটি সেনা শাসিত ছিল, তখনও বাংলাদেশ তাদের সঙ্গে কাজ করেছে।

‘আমি জানতে পেরেছি, মিয়ানমারের ক্যাবিনেট ভেঙে ১১ জনকে নতুন নিয়োগ দেয়া হয়েছে। আমার মনে হয় তাদের দায়িত্ব নেয়ার জন্য কিছুটা সময় দেয়া দরকার। বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা তাদের স্বার্থে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেবে। আমরা আমাদের স্বার্থ দেখে মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে চলব।’

এ বিভাগের আরো খবর