সিলেট বিয়ানীবাজার এলাকায় চাচির পরকীয়ার জেরে খুন হয় এক শিশু। এ ঘটনায় থানায় মামলা করেন শিশুটির বাবা খছরু মিয়া।
তবে হত্যা মামলায় স্বীকারোক্তি দেওয়া এক আসামির জামিনে অনাপত্তির আবেদন করেন বাদী। এতে সংক্ষুব্ধ হাইকোর্ট তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে মঙ্গলবার।
আসামির জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে এদিন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এ সময় আসামি নাহিদ ইসলাম ইব্রাহীমের জামিন আবেদনটিও সরাসরি খারিজ করে দেওয়া হয়।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আল আমীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশির উল্লাহ। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান খান।
পরে আইনজীবী ড. বশির উল্লাহ বলেন, ‘দূরসম্পর্কের এক দেবরের সঙ্গে চাচি সুরমা বেগমের অবৈধ সম্পর্কের বিষয়টি জেনে ফেলে চার বছরের শিশু সাহেল আহমেদ। এর জেরে গেল বছরের ৭ জুন ওই শিশুকে হত্যা করা হয়। মরদেহ রাখা হয় ড্রামের ভেতর।
এ ঘটনায় মামলা করেন শিশুটির বাবা খছরু মিয়া। পরে আসামি সুরমা বেগম ও নাহিদ ইসলাম ইব্রাহীমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
নাহিদ ইসলাম নিম্ন আদালতে জামিনের আবেদন করেন। এ সময় মামলার বাদী শিশুটির বাবা জামিনে আপত্তি নেই জানিয়ে লিখিত দেন।এরপরও নিম্ন আদালত তাকে জামিন না দেওয়ায় হাইকোর্টে আবেদন করেন নাহিদ ইসলাম। হাইকোর্ট তার আবেদনের শুনানির সময় বাদীর অনাপত্তির বিষয়টি দেখে ক্ষুব্ধ হন।
আইনজীবী বশির উল্লাহ আরও বলেছেন, ‘যেখানে আসামি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সেখানে তাকে বাঁচানোর জন্য শিশুর বাবা মামলার বাদী অগ্রগামী হয়েছেন। এ কারণে আদালত তাকে গ্রেপ্তার করতে নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে খারিজ করে দিয়েছেন আসামির জামিন আবেদন।’
সিলেটের বিয়ানীবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এই আদেশ প্রতিপালন করতে বলা হয়েছে।