অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মুদ্রা পাচার মামলায় পুলিশের সাবেক ডিআইজি মিজানুর রহমান মিজানসহ চার জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন ট্রাক্স কমিশনারসহ দুই জন।
ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামান মঙ্গলবার এই সাক্ষ্য নেন।
এ দিন আদালতে সাক্ষ্য দেন অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত কর-কমিশনার মো. নাদিরুজ্জামান ও একটি ডেভলোপার কোম্পানির কর্মকর্তা মো. সোহেল।
সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেওয়ার সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর তাদের সহায়তা করেন।
পরে ডিআইজি মিজানুর রহমানের পক্ষে সাক্ষীদের জেরা করেন আইনজীবী এহসানুল হক সমাজি ও শাহিনুর ইসলাম। এ পর্যন্ত মামলাটিতে সাত জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে।
পরবর্তী সাক্ষ্য নেওয়ার সময় দেয়া হয়েছে ১৭ ফেব্রুয়ারি।
গত ২০ অক্টোবর ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
গত বছর ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকার জেষ্ঠ্য বিশেষ বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে মিজানুর রহমান, তার স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
গত বছরের ১ জুলাই হাইকোর্টে আগাম জামিন চাইতে গেলে ডিআইজি মিজানকে গ্রেপ্তারের আদেশ দিলে হাইকোর্ট মিজানকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। গ্রেপ্তারের পর তাকে শাহবাগ থেকে পরের দিন আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।