বগুড়ায় ‘বিষাক্ত মদ’ পানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে।
রোববার থেকে সোমবার রাতের মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।
সোমবার বগুড়ার তিনমাথা এলাকার রমজান আলী ও সুমন রবিদাস, ফুলবাড়ী এলাকার পলাশ মিয়া ও আব্দুর রহিম এবং কাটনারপাড়ার সাজু ও মোজাহার আলীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছিল পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে বগুড়ার সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির আরও চারজনের মৃত্যুর খবর জানান।
তাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সুমন রবিদাসের বাবা প্রেমনাথের মৃত্যু হয়। এর আগে বিকেলের দিকে দক্ষিণ ফুলবাড়ী এলাকার রিকশাচালক আবদুল জলিল, সদরের ফাঁপোর এলাকার রিকশাচালক জুলফিকার রহমান ও কাহালু উলট্ট মহল্লার আবু কালাম মারা যান।
পুলিশ জানায়, চারজনের মধ্যে প্রেমনাথ ছাড়া অন্যরা নিজ বাড়িতে মারা গেছেন। স্বজনরা জানিয়েছেন, তারা সবাই বিষাক্ত মদ পান করেছিলেন।
আবু কালাম বাদে অন্য দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নেশা করতে রেকটিফাইড অ্যালকোহল পানের পর বগুড়ায় ছয়জনের মৃত্যুর তথ্য সোমবার জানিয়েছিল পুলিশ। স্থানীয় বিভিন্ন হোমিও দোকান থেকে তারা এই অ্যালকোহল সংগ্রহ করে পান করেন।
গতকাল পুলিশের দাবি ছিল, ছয়জনের মধ্যে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বিষাক্ত মদ পানে। আর বাকিরা স্ট্রোক করে মারা গেছেন।
মৃত ব্যক্তির স্বজনরা অবশ্য জানিয়েছিলেন, পুলিশের নিশ্চিত করা তিনজন বাদে অন্যরাও বিষাক্ত মদ পান করেছিলেন।
সুমন রবিদাসের ভাই সুজন রবিদাস জানান, রমজান তাদের এলাকার বাসিন্দা। তারা শহরের তিনমাথা রেলগেট এলাকায় একটি হোমিও দোকান থেকে স্পিরিট কিনে পান করেন। এটা পান করেই রমজান অসুস্থ হয়ে তার নিজ বাড়িতে মারা যান।
বিষক্রিয়ায় এখনো শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন সুমন রবিদাসের চাচা রামনাথ, পলাশের ভাই আতিকুর রহমান পায়েল, পায়েলের বন্ধু আইয়ুব ও শিববাটি এলাকার হোটেল শ্রমিক রঞ্জু।
এদিকে বিষাক্ত মদ বিক্রির অভিযোগে বগুড়া সদর থানায় মামলা করেছেন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রঞ্জুর বড় ভাই মনোয়ার।
মামলার তিন আসামি হলেন খান হোমিও হলের মালিক শাহিনুর রহমান শাহীন, পারুল হোমিও হল এবং পুনম হোমিও হলের মালিক নূর আলম ও নূর নবী।
সোমবার রাতে মামলাটি করা হয় বলে জানিয়েছেন বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ।