সরকারের নানামুখী কর্মকাণ্ডে দেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও শতভাগ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি বলে অভিমত এসেছে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে।
সোমবার জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২১ উপলক্ষ্যে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, এর প্রধান বাধা অতি মুনাফাভোগী এবং ভেজালকারী চক্রের দৌরাত্ম্য।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি আয়োজন করে নিরাপদ খাদ্য ও ভোক্তা অধিকার আন্দোলন বাংলাদেশ।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহম্মদ বলেন, ‘অনিরাপদ খাদ্য গ্রহণের ফলে শুধু ব্যক্তি হিসেবে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তাই নয়, এতে জাতি হিসেবে আমাদের উৎপাদনশীলতা কমে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘নিরাপদ খাদ্য পাওয়ার অধিকার আমাদের সংবিধান অধিকার। আমাদের দেশে এ সংক্রান্ত আইন থাকলেও এর সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না।’ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে আরও বেশি সরকারি নজরদারি প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি- বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূইয়া বলেন, ভেজাল খাদ্য নিয়ন্ত্রণে সর্বপ্রথম প্রয়োজন নৈতিক শিক্ষা। নৈতিক শিক্ষার অভাবেই মানুষ খাদ্যে ভেজাল মেশানোর মতো জঘন্য কাজ করে থাকে।
আয়োজক সংগঠনের প্রধান নির্বাহী কামরুজ্জামান বাবলু বলেন, সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্ত মধ্যম আয়ের দেশ হতে হলে স্বাস্থ্যবান ও কর্মক্ষম জনশক্তির বিকল্প নেই। আর কর্মক্ষম জনশক্তির জন্য পুষ্টিসমৃদ্ধ নিরাপদ খাবারের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য।
তিনি বলেন, অধিক লাভের আশায় অধিকাংশ ব্যবসায়ী ও উৎপাদকরা খাদ্যে ভেজাল মেশাচ্ছে। তাদের প্রতিহত করা সম্ভব না হলে আগামী তা আরও ভয়বাহ আকারে ছড়িয়ে পড়বে।
সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি মো. শহীদুল ইসলামের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে ইসমাঈল হোসেন সিরাজী, সরদার মো. আব্দুস সাত্তার, জেসমিন আরা ও নোমান মোশারেফ বক্তব্য রাখেন।