জমি নিয়ে বিরোধের জেরে কক্সবাজারে মা-মেয়েকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবুল কালামকে রোববার রাতে রাজধানীর ডেমরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়ে ডিআইজি (চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) হাবিবুর রহমান বলেন, গত ১৯ জানুয়ারির ঘটনার পর তিনি বিদেশ পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন।
সিআইডি কর্মকর্তা হাবিবুর বলেন, ঘটনার পর থেকেই সিআইডি প্রধান কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে ছায়া তদন্ত শুরু হয়। কক্সবাজারের ঈদগাহ থানার ইসলামাবাদ ইউনিয়নের চরপাড়ার রাবার ড্যাম এলাকায় বাড়ির পাশের রাস্তা নিয়ে বিরোধ ছিল রাশেদা বেগমের সঙ্গে তার ভাতিজা কালামের।
১৯ জানুয়ারি রাশেদা বেগম বেড়া দিয়ে রাস্তা আটকে দেন। সন্ধ্যার পর এ নিয়ে চাচী-ভাতিজার বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে আবুল কালাম ধারাল দা দিয়ে চাচী রাশেদা বেগম ও চাচাতো বোন জান্নাতুল ফেরদৌসের ওপর হামলা চালান। হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই আবুল কালাম ও তার পরিবারের সদস্যরা পলাতক।
ঘটনার তিন দিন পর ২২ জানুয়ারি কক্সবাজারের ঈদগাঁহ থানায় হত্যা মামলা করা হয়। আসামি করা হয় চার জনকে। আবুল কালামকে প্রধান আসামি করে তার ভাই আবু তাহের, স্ত্রী হামিদা বেগম ও বোন মনোয়ারা বেগমকে আসামি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অভিযান চালানোর সময় বারবার স্থান পরিবর্তন করছিলেন আবুল কালাম। কক্সবাজারের টেকনাফ-উখিয়া পেরিয়ে রাজধানীতে আসলে ডেমরা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আবুল কালাম হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তিনি নিজেই কুপিয়েছেন চাচী রাশেদা বেগম ও চাচাতো বোন জান্নাতুল ফেরদৌসকে। মামলার অন্য আসামিরা হত্যায় কীভাবে জড়িত ছিলেন সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, এ ঘটনায় মূল আসামি আবুল কালাম নিজের দায় স্বীকার করেছেন। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। তারা ধরা পড়লে ঘটনার পেছনে অন্য কোনো ঘটনা আছে কি না জানা যাবে।
হাবিবুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার আবুল কালাম ২০১৩ সালে সাগর পথে অবৈধভাবে মলয়েশিয়া যান। সাত মাস আগে তিনি দেশে ফেরেন। ঘটনার পর তিনি আবার বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন।