বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দম্পতিসহ জঙ্গি সংঠনের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার

  •    
  • ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ২০:৩৪

র‍্যাব জানিয়েছে, গত ২৩ জানুয়ারি গ্রেপ্তার আনসার আল-ইসলামের পাঁচ সদস্যের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিষিদ্ধ সংগঠনটির সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেছেন।

রাজধানীর পল্টন ও ভাটারা থানা এবং শেরপুর জেলায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের এক নারীসহ চার সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন।

রোববার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- আব্দুল ওহাব ওরফে সিরাতুল মুস্তাকিম ওরফে হামজা বিন মোতালিব, বেলাল হোসাইন ওরফে খোরশানের মুজাহিদ ওরফে খোরশানের কালো পতাকা বাহিনী, মো. নাজমুল ও আব্দুল ওহাবের স্ত্রী ঝুমুর খাতুন ওরফে রোকাইয়া ওরফে হাজ্জাজ বিন মুতালিব।

সোমবার দুপুরে র‍্যাব-৪ এর সহকারী পুলিশ সুপার জিয়াউর রহমান চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়।

জিয়াউর রহমান চৌধুরী জানান, গত ২৩ জানুয়ারি গ্রেপ্তার আনসার আল-ইসলামের পাঁচ সদস্যর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা নিষিদ্ধ সংগঠনটির সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেছেন। তাদের কাছ থেকে সংগঠনটির বিভিন্ন ধরনের ১১টি উগ্রবাদী বই, ২১টি লিফলেট, ১৬৭টি জঙ্গিবাদী কথোকথনের প্রমাণ জব্দ করা হয়।

আব্দুল ওহাবকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যান তিনি। পরে দেশে ফিরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। তিনি সংগঠনের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। পাশাপাশি সদস্য বাড়াতে অনলাইনে মতবাদ প্রচার করতেন।

বেলাল হোসাইনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তিনি পল্টনে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির পাশাপাশি অনলাইনে বিভিন্ন উগ্রবাদী লেখালেখি, ভিডিও ও লিফলেট প্রচার করতেন।

নাজমুলের কাছ থেকে জানা যায়, তিনি শেরপুরের একটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক। অন্যদের সঙ্গে গোপন বৈঠকের পাশাপাশি চাঁদা ও নতুন সদস্য সংগ্রহ করতেন তিনি।

ঝুমুরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তিনিও গোপন বৈঠকের পাশাপাশি চাঁদা ও নতুন সদস্য সংগ্রহ করছিলেন। পরিবারের সদস্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পাঁচ মাস আগে আব্দুল ওহাবকে বিয়ে করেন। তারা মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন।

র‍্যাব কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান জানান, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি তাদের সহযোগীদের ধরতে গোয়েন্দা নজরদারি চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর