বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সুইস ব্যাংকের অর্থ ফেরাতে রিট

  •    
  • ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৯:৩৬

সুইজারল্যান্ডের সরকার তার দেশে অর্থ রাখলে কোনো প্রশ্ন করে না। এ কারণে বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসীরা এই দেশের ব্যাংকগুলোতে টাকা রাখেন। কেবল বাংলাদেশি নয়, বিশ্বের প্রায় সব দেশের প্রবাসীরাই দেশটিতে টাকা পাঠান।

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অর্থ ফেরত আনার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান। রিটের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে থাকবেন সুবীর নন্দী দাস।

রিটে অর্থসচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেলসহ ১৫ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

সুইস ব্যাংকের বাংলাদেশিদের টাকার বিষয়টি নিয়ে বরাবর দেশে তুমুল আলোচনা হয়।

সুইজারল্যান্ডের সরকার তার দেশে অর্থ রাখলে কোনো প্রশ্ন করে না। এ কারণে বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসীরা এই দেশের ব্যাংকগুলোতে টাকা রাখেন। কেবল বাংলাদেশি নয়, বিশ্বের প্রায় সব দেশের প্রবাসীরাই দেশটিতে টাকা পাঠান।

সুইস ব্যাংকে বিদেশিদের টাকার হিসাব নিয়ে প্রতিবছর একটি হিসাব প্রকাশ হয়। তবে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তথ্য প্রকাশ করে না ব্যাংকগুলো।

আবার এই অর্থ যে সব অবৈধ বা পাচার করা, সেটি বলারও সুযোগ নেই।

সবশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯ সালে দেশটির বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের জমা করা অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬০ কোটি ৩০ লাখ ফ্রাঁ। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় পাঁচ হাজার তিনশ কোটি টাকা।

আগের বছর জমা ছিল প্রায় ৬২ কোটি সুইস ফ্রাঁ। এই হিসাবে এক বছরে বাংলাদেশি মুদ্রায় জমার পরিমাণ কমেছে প্রায় দেড়শ কোটি টাকা।

নানা সময় আলোচনা হলেও বাংলাদেশ সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে এ বিষয়ে কোনো তথ্য পায়নি।

রিটে টাকা পাচারে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে।

সুইস ব্যাংকসহ বিদেশে পাঠানো অর্থ পাচারকারীদের তালিকা প্রকাশেরও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

কীভাবে দেশ থেকে টাকা পাচার হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এই পাচার বন্ধে কী করা যায়, তা নির্ধারণে সাবেক কোনো বিচারপতির নেতৃত্বে বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠনেরও নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে আবেদনে।

আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘টাকা পাচার নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হওয়া প্রতিবেদন যুক্ত করে এই রিট করা হয়েছে।’

বিচারপতি নজরুল ইসলাম ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে বলেও তিনি জানান।

এ বিভাগের আরো খবর