অং সান সুচিসহ গণতন্ত্রপন্থি এনএলডির বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখলে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ। এতে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী দেশটিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকা দেখতে চায় তারা।
সোমবার দুপুর একটার দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ নিবিড়ভাবে গণতান্ত্রিক রীতিকে অনুসরণ করে এবং এর চর্চা ও প্রসারে বিশ্বাস করে। আমরা আশা করি, মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং সাংবিধানিক ব্যবস্থা বহাল থাকবে।’
গত নভেম্বরের মিয়ানমারে সাধারণ নির্বাচনের পর থেকেই এনএলডি ও সেনাবাহিনীর মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল। নির্বাচনে এনএলডি সরকার গঠনের মতো আসন পেলেও জালিয়াতির অভিযোগ তোলে সেনাবাহিনী।
পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের নতুন করে নির্বাচিত সদস্যরা মতো সোমবার অধিবেশনের ডাক দেয়। কিন্তু তা স্থগিতের আহ্বান জানিয়ে আসছিল সেনাবাহিনী। এসব ঘটনার মধ্যেই সোমবার ভোরের দিকে সুচি, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট ও আরও কয়েকজন নেতাকে ‘ধরে নিয়ে যাওয়া’হয়।
এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। দেশটির সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী করা হয় প্রতিরক্ষা বিভাগের কমান্ডার-ইন-চিফ মিন অং হ্লাংকে।
এসব ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের অনেক দেশ। নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো।
প্রতিবেশী দেশটিতে স্থিতিশীলতা দেখতে চায় বাংলাদেশও। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃততে বলা হয়েছে, ‘তাত্ক্ষণিক ও বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী দেশ হিসাবে আমরা মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতা দেখতে চাই। আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে পারস্পরিক ও দ্বিপাক্ষীক সম্পর্কের বিকাশে অবিচল।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়েও উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। বলা হয়েছে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় ও নিরাপদ এবং টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এই প্রক্রিয়াগুলি যথাযথ চলমান থাকবে ও বাস্তবায়ন হবে।