বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মেয়রের ‘হুমকি’ পেয়ে জিডি এমপির

  •    
  • ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৪:১২

অভিযোগ থেকে জানা যায়, সংসদ সদস্য নাজিমের মোবাইল ফোনে শনিবার বিকেল ৪টা ১৭ মিনিটের দিকে কল করেন রফিকুল। ওই সময় সাংসদকে মেয়র বলেন, ‘আপনার কারণে আমার জীবন শেষ হয়ে গেছে। আমি আপনাকে ক্ষমা করব না। রক্তের বন্যা বইয়ে দিব।’

ময়মনসিংহের গৌরীপুরের সংসদ সদস্য মো. নাজিম উদ্দিন আহমেদকে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে গৌরীপুর পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

গৌরীপুর পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফোনে হুমকি পেয়ে শনিবার রাতে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সাংসদ নাজিম।

অভিযোগ থেকে জানা যায়, সংসদ সদস্য নাজিমের মোবাইল ফোনে শনিবার বিকেল ৪টা ১৭ মিনিটের দিকে কল করেন রফিকুল। ওই সময় সাংসদকে মেয়র বলেন, ‘আপনার কারণে আমার জীবন শেষ হয়ে গেছে। আমি আপনাকে ক্ষমা করব না। রক্তের বন্যা বইয়ে দিব।’

কথোপকথনে সাংসদের ছেলে তানজির আহমেদ রাজিবকে দেখে নেয়ারও হুমকি দেন পৌর মেয়র।

সাধারণ ডায়েরির অভিযোগটি তদন্ত করতে ময়মনসিংহ অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এক নম্বর আমলী আদালতে রোববার আবেদন করেছেন কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক নিরুপম নাগ।

তৃতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে গৌরীপুরে ভোট হয় ৩০ জানুয়ারি। এ দিন সাংসদ নাজিমের নির্বাচনি এলাকায় যাওয়া নিয়ে রফিকুলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব হয়।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র রফিকুল বলেন, ‘নির্বাচনি আচরণ বিধি অনুযায়ী, সংসদ সদস্য ভোটের সময় থাকতে পারেন না। উনাকে (এমপিকে) বারবার বলার পরেও উনি নির্বাচনের দিনও কেন্দ্রের ভেতর প্রবেশ করেছেন। এ জন্য নির্বাচন অফিসে নিয়ম অনুযায়ী অভিযোগও দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাংসদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক থাকায় ফোন করে উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড না করার জন্য বলি। তবে কথাগুলো একটু উত্তেজনাময় ছিল।’

সংসদ সদস্য নাজিম বলেন, ‘আমার মুঠোফোনে ফোন দিয়ে হুমকি দিতে শুরু করে মেয়র। বলতে থাকে- রক্তের বন্যা বইয়ে দেব, আপনাকে ও আপনার ছেলেকে দেখব। রক্তের হলি খেলা হবে। এখানে যা হয়, তার সমস্ত দায় দায়িত্ব আমাকে নিতে হবে।’

ভোটের দিন তার উপস্থিতি নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সংসদ সদস্যের অস্থায়ী কার্যালয়ে ব্যক্তিগত প্রয়োজনীয় কাগজ নিতে গিয়েছিলাম। সেখানে ১০ মিনিটও বসিনি। নির্বাচনে কোনো প্রভাব বিস্তার করিনি।’

এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ফারুক হোসেন জানান, সংসদ সদস্যের জিডি তদন্তের জন্য আদালতের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। অনুমতি পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো খবর