দুটি জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেওয়ার অভিযোগে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের বরখাস্ত চিকিৎসক সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পিছিয়েছেন আদালত।
১ ফেব্রুয়ারি এই মামলার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকলেও জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
পরে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম মামুনুর রশীদ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩ মার্চ নতুন তারিখ দেন। এই মামলায় অবশ্য জামিনে আছেন সাবরিনা।
ভুয়া তথ্য দেখিয়ে সাবরিনা একাধিক এনআইডি কার্ড নেওয়ার অভিযোগে গত ৩১ আগস্ট তার বিরুদ্ধে গুলশান থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া বাদী হয়ে রাজধানীর বাড্ডা থানায় মামলা করেন।
মামলায় বলা হয়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে দ্বৈত ভোটার হয়ে এবং একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আইন অনুযায়ী অপরাধ করেছেন সাবরিনা। দুটি এনআইডির তথ্য তুলে ধরে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
২০১০ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনের ১৪ ও ১৫ ধারায় এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। ১৪ ধারায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের বিধান আছে।
আর ১৫ ধারায় একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলেও একই শাস্তি হবে।
এই মামলা ছাড়াও করোনা ভাইরাসের ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। এই মামলায় গত ১২ জুলাই গ্রেপ্তারের পর থেকে কারাগারে রয়েছেন তিনি।