৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা অবিলম্বে বহালের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ। সংগঠনের নেতারা বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী পাকিস্তানি অপশক্তি জামায়াত-শিবির-বিএনপির ষড়যন্ত্রে ২০১৮ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের আন্দোলন করা হয়েছিল।
রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনটি আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এ কথা বলা হয়।
সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বচ্ছ চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়ন এবং প্রতিবছর মুক্তিযোদ্ধা তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের নামে হয়রানি বন্ধের দাবি জানানো হয়।
মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়ন না হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। প্রতিবছর এ যাচাই-বাছাইয়ের নামে মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানি করা হচ্ছে, যা কখনও কাম্য নয়।
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে আমাদের আহ্বান, আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের আগেই বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বচ্ছ চূড়ান্ত তালিকা প্রণয়ন করতে হবে। আমরা কোনো অমুক্তিযোদ্ধার নাম বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় দেখতে চাই না। অতীতে যে সকল অমুক্তিযোদ্ধা অবৈধভাবে মুক্তিযুদ্ধের তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন, তাদের বাদ দিয়ে একটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য তালিকা প্রণয়ন করতে।
‘একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জামুকা এবং মুক্তিযুদ্ধ কল্যাণ ট্রাস্টে মুক্তিযোদ্ধারা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সে বিষয়ে সরকারের দৃষ্টি রাখতে হবে।’
তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে দেশে আজ পর্যন্ত কোনো হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়নি। এছাড়া সমগ্র দেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর হত্যা, নির্যাতন ও অবমাননা বন্ধ করার জন্য বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবার সুরক্ষা আইন প্রণয়ন করতে হবে।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মো. আলাম আল মামুনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।