রাজধানীর আফতাব নগরে একটি গোয়েন্দা সংস্থা ও র্যাবের যৌথ অভিযানে মাহিয়া ফাউন্ডেশন নামে এক ভুয়া বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) ১০ জনকে আটক করা হয়েছে।
রোববার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এই এনজিওটা পুরাটাই একটি প্রতারণা। এনজিও বিষয়ক ব্যুরো থেকে যে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট নিতে হয়, তাদের সেই সার্টিফিকেট জাল। যশোরের হাসান সমাজ কল্যাণ সংস্থা নামক একটি প্রতিষ্ঠানের রেজিস্ট্রেশন নম্বর এরা ব্যবহার করে নিজেদের প্যাডে বসিয়ে দিয়েছে।’
ভুয়া এনজিওটি অনলাইনসহ বিভিন্ন মাধমে চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়েছে জানিয়ে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ট্যুর এবং হেলথ অফিসার পদে ৫০০ জনের বিজ্ঞাপন দেয়া হয়।
‘কিন্তু রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কাজ করার কোনো অনুমতি তাদের নেই। এরা ইতোমধ্যে এক থেকে দুইশ লোককে নিয়োগ দিয়েছে। তাদের আইডি কার্ডও দিয়েছে। কিন্তু কাজ দেয়নি। অফিসে বসিয়ে এদিক-সেদিক ঘুরিয়েছে। তারা কোনো বেতনও পাননি।’
‘প্রতারক চক্রটি কয়দিন পরপর ফাউন্ডেশনের নাম পরিবর্তন করে। এখন পর্যন্ত তিনটি নাম আমরা পেয়েছি’, বলেন তিনি।
পলাশ কুমার বসু বলেন, ‘অভিযানে প্রায় সাত হাজার সিভি ও ৭০টি আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়। তারা দেড়শ থেকে দুইশ জনের কাছ থেকে পদবী অনুসারে ১০ থেকে ৬৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়েছে চাকরি দিবে বলে। কিন্তু আসলে কাউকেই দেয় নাই।’
তিনি জানান, এ ঘটনায় মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হবে। তাদের মধ্যে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। পলাতক আছেন এনজিওটির চেয়ারম্যান সাবরিনা বারি।
আটকরা হলেন- বাবুল আকতার (নির্বাহী পরিচালক ), আহমদ আলী (ভাইস চেয়ারম্যান), মেহেদী হাসান (পরিচালক), মিজানুর রহমান (পরিচালক খাদ্য সাপ্লাই), আবদুল্লাহ খান মামুন (উখিয়া ম্যানেজার), আবদুল্লাহ মামুন (টেকনাফ ম্যানেজার), মেহেদি হাসান (কম্পিউটার অপারেটর), গোলাম রায়হান (কম্পিউটার অপারেটর), মনির উদ্দিন খালেদ (সিনিয়র ফিল্ড সুপাইভাইজার) ও নিগার উম্মে সালমা (ফিল্ড সুপাইভাইজার)।