বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পেনশনের ৬০ লাখের জন্য ৩০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি

  •    
  • ৩১ জানুয়ারি, ২০২১ ২১:২৭

রোববার সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ এসএম মনোয়ার হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা। তবে ঘুষ দাবির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ টিএম সোহেল।

সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ টিএম সোহেলের বিরুদ্ধে অবসরকালীন ভাতার (পেনশন) ফাইল ছাড়তে সাবেক অধ্যক্ষ এসএম মনোয়ার হোসেনের কাছে ৩০ লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ উঠেছে।

রোববার সিরাজগঞ্জ থেকে প্রকাশিত এক দৈনিক পত্রিকার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মনোয়ার হোসেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওই কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা।

তবে ঘুষ দাবির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সোহেল।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মনোয়ার হোসেন বলেন, ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর তিনি অবসর নেন। অবসর ভাতা হিসেবে ৬০-৬৫ লাখ টাকা পাওয়ার কথা। ২০২০ সালের ১ জুলাই বর্তমান অধ্যক্ষ সোহেলের কাছে পেনশন সংক্রান্ত ফাইল জমা দিতে গেলে তিনি সেটি নেননি। এভাবে কয়েক বার ফাইল জমা দিতে গেলেও সেটা গ্রহণ করেননি অধ্যক্ষ সোহেল।

মনোয়ার হোসেন বলেন, ডাকের মাধ্যমে পেনশনের ফাইল সোহেলের কাছে পাঠালেও তিনি তা আমলে নেননি। কয়েক দফায় চিঠি দিলে সোহেল বারবার অসম্পূর্ণ ফাইল উল্লেখ করে পাল্টা চিঠি দেন।

এভাবে চিঠি আদান-প্রদানের পর ২০২০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর পেনশনের ফাইলটি অসম্পূর্ণ অবস্থায় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) পাঠান বর্তমান অধ্যক্ষ সোহেল।

মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘৩০ লাখ টাকা ঘুষ না দেয়ায় সোহেল এমন করছেন। নিজের আস্থাভাজন শিক্ষকদের মাধ্যমে সাবেক উপাধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফার কাছে ঘুষের প্রস্তাব দেন সোহেল।’

সংবাদ সম্মেলনে সাবেক উপাধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা জানান, অভ্যন্তরীণ অডিট চলার সময় কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক প্রভাত চন্দ্র বিশ্বাস ও দর্শন বিভাগের অধ্যাপক সুলতান মাহমুদ তার কাছে এসে সাবেক অধ্যক্ষ মনোয়ারের পেনশন ও অডিট নিস্পত্তি করতে ৩০-৩২ লাখ টাকা দিতে হবে বলে জানান।

ঘুষ দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ সোহেল বলেন, ‘এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমি সঠিক নিয়মে অধ্যাপক মনোয়ার হোসেনের পেনশন সংক্রান্ত ফাইল মাউশিতে পাঠিয়েছি। কাজ শেষ হতে দেরি হলে আমার কিছু করার নেই।’

জিজ্ঞাসা করা হলে অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, তিনি মাউশিতে একাধিকবার খোঁজ নিয়েছেন। তার পেনশনের কোনো নথি সেখানে যায় নি।

এ বিভাগের আরো খবর