ছেঁড়াদ্বীপে যেতে কোস্টগার্ডের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে সেন্টমার্টিনে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছে হোটেলমালিক ও পরিবহন মালিকেরা।
রোববার সকালে শুরু হওয়া এই ধর্মঘটে সেন্টমার্টিন অচল হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ।
তিনি জানান, অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ব্যবসায়ী সংগঠনসহ স্থানীয় জনসাধারণ। দুপুরে দ্বীপে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।
দ্বীপে যান চলাচল, দোকান, হোটেল-রেস্তোঁরাসহ সবকিছু বন্ধ রয়েছে।
ধর্মঘটের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছে সেন্টমার্টিন সার্ভিস বোট মালিক সমিতি, স্পিডবোট চালক সমিতি, গামবোট চালক সমিতি, ইজিবাইক চালক সমিতি, দোকানি, বাজার কমিটি, হোটেল-কটেজ মালিক সমিতিসহ আরও অনেকে।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সেন্টমার্টিন স্টেশনের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান নিউজবাংলাকে জানান, তারা সরকারি নির্দেশনা পালন করছেন। ২০২০ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে ছেঁড়াদ্বীপে পর্যটক যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর মধ্যেও কিছু পর্যটক তাদের অগোচরে সেখানে গিয়েছেন। এখন আর কোনো পর্যটককেই ছেঁড়াদ্বীপে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
স্থানীয় ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর দাবি, সেন্টমার্টিন দ্বীপের সাড়ে ছয় হাজারের বেশি মানুষের রোজগার হয় পর্যটন মৌসুমে। বছরের চার মাস দ্বীপের মানুষ পর্যটকদের পরিবহনের মাধ্যমে সংসার চালায়। সেখানে ছেঁড়াদ্বীপে পর্যটক যাওয়া বন্ধ করলে বেকার হয়ে পড়বে অনেকেই।