সারা দেশে গণহারে করোনার টিকা দেয়া শুরু হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। সেই লক্ষ্যে রোববার সন্ধ্যা পর্যন্ত সারা দেশের ৬১ জেলার ৪৮৩ উপজেলা সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) স্টোরে টিকা পৌঁছে দিয়েছে বেক্সিমকো ফার্মা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বেক্সিমকোর চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) রাব্বুর রেজা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চুক্তি অনুযায়ী ৬১ জেলায় করোনার টিকা পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। ৫০ লাখ টিকা ৬১ জেলায় পৌঁছানোর একটি তালিকা সরকার আমাদের দিয়েছিল। সেই তালিকায় থাকা জেলাগুলোতে টিকা পৌঁছে দেয়া হয়েছে। টিকার সঠিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে টিকা পাঠানো হয়েছে বিশেষায়িত ট্রাকে।’
বাকি তিন জেলায় ভারত থেকে পাওয়া উপহারের টিকা পাঠানো হবে সরকারি ব্যবস্থপনায়।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. রওশন জাহান আক্তার আলো নিউজবাংলাকে বলেন, উপহারের ২০ লাখ ৪ হাজার ডোজ টিকা রাখা হয়েছে তেজগাঁওয়ের ইপিআই স্টোরে। এ টিকা ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ জেলায় সরবরাহ করা হবে।
ভারতের বিমান থেকে নামানো হচ্ছে উপহারের টিকা। ছবি: নিউজবাংলা
তিনি আরও বলেন, ‘ইপিআই স্টোরের আইএলআরে (হিমায়িত বাক্সে টিকা রাখার ব্যবস্থা) এসব টিকা রাখা হয়েছে। সেখান থেকে কোল্ড বক্সে করে নেওয়া হবে টিকাদান কেন্দ্রে। সংক্রমণের হার, জনসংখ্যার ঘনত্ব বিবেচনা করে সারা দেশে টিকা বণ্টন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।’
দেশে বর্তমানে কোভিশিল্ড টিকার ৭০ লাখ ডোজ মজুদ আছে। এর মধ্যে ভারত সরকারের উপহারের ২০ লাখ ডোজ এবং সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা ৫০ লাখ ডোজ। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এ টিকা উৎপাদন করছে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট।
এই কাভার্ডভ্যানে বহন করা হয় ভারত থেকে আসা টিকা। ছবি: সাইফুল ইসলামসিরাম থেকে তিন কোটি ডোজ কিনতে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ও সরকারের সঙ্গে সিরামের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ টিকা দেশে আসবে। প্রথম মাসে কেনা ৫০ লাখের মধ্যে ৪৯ লাখ টিকা দেশের ৬১ জেলায় বিতরণের তালিকা প্রণয়ন করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, ‘বেক্সিমকো ফার্মা আমাদের বলেছে, জেলায় জেলায় টিকা পৌঁছে গেছে। টিকা কর্মসূচি বাস্তবায়নের বুথগুলোকে প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামীকালের (সোমবার) মধ্যেই টিকাদান কর্মীদের প্রশিক্ষণ শেষ হবে। সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে আগামীকাল উপজেলার ফোকাল পারসনদের ভার্চুয়াল মিটিং অনুষ্ঠিত হবে। তাদের থেকে যা পরামর্শ আসবে, আগামী পাঁচ-ছয় দিনের মধ্যে সেগুলো নিয়ে কাজ করা হবে। টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে সাত হাজার ৪০০ টিম কাজ করছে।’