ঢাকার একটি পোশাক কারখানা বিশ্বের সেরা সবুজ কারখানার একটির স্বীকৃতি পেল।
এর আগেও দেড় শতাধিক কারখানা এই স্বীকৃতি পেয়েছে, যার সব শেষ হলো আমান গ্রাফিক্স অ্যান্ড ডিজাইনস লিমিটেড।
কারখানাটি সাভারের হেমায়েতপুরের নিজামনগর এলাকায় অবস্থিত। ঢাকার মহাখালী ডিওএইচএস এলাকায় তাদের একটি শাখাও আছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইউনাইটেড স্টেটস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) প্রতিষ্ঠানটিকে পুরস্কার হিসেবে ‘লিড প্লাটিনাম ২০০৯’ এ ভূষিত করেছে।
কারখানা ক্যাটাগরিতে বিশ্বসেরার স্বীকৃতির তালিকায় ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের মানদণ্ডে বিশ্বের মধ্যে সপ্তম এবং বাংলাদেশে চতুর্থ হয়েছে আমান গ্রাফিক্স।
প্রতিষ্ঠানটির লিড প্লাটিনাম সনদ নিশ্চিতে পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছে বাংলাদেশের একমাত্র ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলের একমাত্র ফ্যাকাল্টি সদস্য ‘৩৬০ টোটাল সলিউশন’।
রোববার সকালে আমান গ্রাফিক্স অ্যান্ড ডিজাইনস লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাইফুল হক ভুঁইয়ার হাতে সনদ হস্তান্তর করেন ‘৩৬০ টোটাল সলিউশনে’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ইউএসজিবিসি ফ্যাকাল্টি অনন্ত আহমেদ।
আমান গ্রাফিক্স অ্যান্ড ডিজাইনস লিমিটেডের ভেতরের চিত্র
সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চু্য়ালি যুক্ত ছিলেন ইউএসজিবিসির দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোপাল কৃষ্ণ পদ্মানাভন এবং মার্কেটিং ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান আঞ্চলিক কর্মকর্তা শান্তনু দত্ত গুপ্ত।
এ সময় কাউন্সিলের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও ইউনিফিল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সনদ গ্রহণ করে আমান গ্রাফিক্স এর চেয়ারম্যান সাইফুল হক বলেন, ‘এই স্বীকৃতি দেশের জন্য বড় অর্জন ও ভবিষ্যত ব্যবসার সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ। এই সার্টিফিকেট কেবল একটি সাদামাটা কাগজ নয়। এটি হচ্ছে ব্যবসায়িক ব্যবস্থাপনায় সবচেয়ে কার্যকরী মডেল।
‘যদি আমরা সঠিকভাবে বুঝে শুনে প্রয়োগ করতে পারি, তাহলে শুধু দেশে নয়, বৈশ্বিক ব্যবসা সম্প্রসারণে নতুন দিগন্তে পৌঁছে দেবে। যা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তা দৃশ্যমান হবে।’
আমান গ্রাফিক্স অ্যান্ড ডিজাইনস কর্তৃপক্ষের হাতে সনদ তুলে দেয়া হচ্ছে
তৈরি পোশাক শিল্প মালিকরদের সংগঠন বিজিএমইএ সদস্যভূক্ত কারখানাটি মুলত শার্ট, প্যান্ট, জ্যাকেট, ট্রাউজার উৎপাদন করে। এসব পণ্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে থাকে।
চার হাজার ৩০০ জন জনবলের কারখানাটির বছরে পোশাক উৎপাদন ক্ষমতা এক লাখ ৮০ হাজার ডজন।
২০২০ সালে কারখানাটি তিন কোটি ২০ লাখ ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে।