১১ মাস ধরে সার্কাস প্রদর্শনী বন্ধ থাকায় এর সাথে সংশ্লিষ্ট প্রায় ২৫ হাজার মালিক-কর্মচারী-শিল্পী এখন বেকার দিন কাটাচ্ছেন।
মালিকদের কেউ কেউ সরঞ্জাম বিক্রি করে দিয়েছেন। কেউ ধারদেনা করে কোনোরকমে টিকে আছেন। কিন্তু এর সঙ্গে যুক্ত প্রশিক্ষিত শিল্পী-কুশলীরা দিশেহারা। তারা বিকল্প কর্মসংস্থানের দিকে ধাবিত হচ্ছেন। সার্কাসে ব্যবহৃত প্রশিক্ষিত হাতি, ঘোড়া, গাধা, কুকুর ও বানরের করুণ দশা।
সার্কাসের দলগুলো এখন প্রদর্শনীর অনুমতি চাইছে। সেই সঙ্গে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ২৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১০ কোটি টাকা ফেরতযোগ্য প্রণোদনা দেয়ারও দাবি জানিয়েছে তারা।
রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে বাংলাদেশ সার্কাস মালিক সমিতি আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান সংগঠনটির সভাপতি বাবু নিরঞ্জন সরকার।
তিনি বলেন, ‘দেশের অতি পুরনো জনপ্রিয় সার্কাস শিল্প আজ প্রায় বিপন্ন। স্বাধীনতাপূর্ব এবং উত্তরকালে গঠিত অধিকাংশ সার্কাস দল আজ আর নেই।’
মড়ার ওপর খাড়ার ঘা হিসাবে এসেছে করোনা মহামারি। ১১ মাস ধরে সার্কাস প্রদর্শনী বন্ধ থাকায় এর সাথে সংশ্লিষ্ট প্রায় ২৫ হাজার মালিক-কর্মচারী-শিল্পী এখন বেকার অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।
সংগঠনের সভাপতি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সকল ক্ষেত্রে প্রণোদনা প্রদান করে দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখেছেন। কিন্তু বিনোদনের মাধ্যম এই সার্কাস শিল্পে কোনো সহযোগিতা এখনও আসেনি। ইতোমধ্যে করোনা মহামারির প্রকোপ অনেকটা কমে এসেছে। অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য, সিনেমা হল, চিড়িয়াখানা, সমুদ্র সৈকতসহ পর্যটন কেন্দ্র সবই খুলে দেওয়া হয়েছে। শুধু বন্ধ আছে মেলা এবং সার্কাস।’
পাশের দেশ ভারতে ইতোমধ্যে মেলা এবং সার্কাস প্রদর্শনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে সংগঠনের সভাপতি উল্লেখ করেন।
রোববার প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ সার্কাস মালিক সমিতির সংবাদ সম্মেলন। ছবি: নিউজবাংলা
তিনি লাইসেন্সধারী ২৫টি সার্কাস দলকে সার্কাস প্রদর্শনের অনুমতি দেয়ার দাবি জানান। সেই সঙ্গে এই শিল্পকে রক্ষা এবং উন্নত প্রযুক্তি সংযোজন করে মানসম্মত সার্কাস প্রদর্শনের জন্য সরকারের কাছে ১০ কোটি টাকা ফেরতযোগ্য প্রণোদনা দেয়ার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সমিতির সহসভাপতি বীরেন দাস, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিনুর রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আফতাব উদ্দিনসহ অনেকে।