বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর বাবুবাজার ব্রিজ, টঙ্গীর রেলওয়ে সেতুসহ ঢাকার চারপাশের নদীর ১৩টি স্বল্প উচ্চতার সেতু ভেঙে নৌ-চলাচল উপযোগী সেতু করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
রোববার সচিবালয়ে ঢাকার চারপাশের নদীগুলো দখলমুক্ত, দূষণরোধ এবং নাব্যতা বাড়াতে মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা-সংক্রান্ত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
ঢাকা শহরের চারপাশে থাকা পাঁচটি নদীর ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ২২টি সেতু। যার মধ্যে উচ্চতা-সংকটের কারণে ১৩টি সেতু নৌপরিবহনে বাধা তৈরি করছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ঢাকার চারপাশে যেসব নদী আছে, সে নদীগুলোর ওপর পরিবহনব্যবস্থার জন্য বেশ কিছু ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। ব্রিজগুলোর উচ্চতা বৃদ্ধি না করার কোনো উপায় নেই। না হলে নৌপরিবহনব্যবস্থা বিঘ্নিত হবে।’
ঢাকার নৌ-যোগাযোগব্যবস্থার গুরুত্ব দেওয়ার লক্ষ্যে ১৩টি সেতু পুনঃনির্মাণের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
‘এই চিহ্নিত তেরোটি ব্রিজের মধ্যে এলজিইডির ছয়টি ব্রিজ, সেতু বিভাগের ছয়টি, আরেকটি রেল মন্ত্রণালয়ের। এগুলোর উচ্চতা বৃদ্ধি করে যাতে নৌপরিবহনব্যবস্থা সচল করা যায়, সেজন্য টেকনিক্যালি কাজ আরম্ভ করবে।’
তাজুল ইসলাম জানান, নৌপরিবহনব্যবস্থা সচল করতে হলে এই সেতুগুলো ভাঙতেই হবে। এজন্য এলজিআরডি ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। ঢাকার চারপাশে নদীগুলো দখলমুক্ত করার কাজ চলমান আছে।
ঢাকার নৌ পরিবহন ব্যবস্থা সচল করতে সেতুগুলো ভাঙার বিকল্প নেই বলে জানান এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। ছবি: নিউজবাংলা
‘দখলমুক্তের কাজ আমাদের শিপিং মিনিস্ট্রি করছে, ওয়াটার মিনিস্ট্রি করছে। সিটি করপোরেশনগুলো তাদের এলাকার মধ্যে করছে। দখলমুক্ত করার এ অভিযান অব্যাহত আছে।’
দখলমুক্ত স্থানগুলোর পুনরায় দখল ঠেকাতে সেগুলো সংরক্ষণ করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী। এজন্য নির্মাণ করা হবে কৌশলগত অবকাঠামো।
নদীদূষণ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকার আশপাশের নদীগুলোর তীরে যেসব শিল্পকারখানা আছে, সেগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।
‘দুই হাজার ১০৪টি শিল্পকারখানার মধ্যে বেশ কয়েকটি কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনেকগুলোকে জরিমানা করা হয়েছে।’