লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম পাপুলের বিরুদ্ধে কুয়েতে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে, সেগুলো বিএনপি আমলের বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবউল আলম হানিফ। কাজেই এই ঘটনায় বিএনপিকে জবাব দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার পাপুলকে চার বছরের কারাদণ্ড ও বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫৩ কোটি টাকার বেশি জরিমানা করে কুয়েতের একটি আদালত।
দুই দিন পর শনিবার এই রায়কে বাংলাদেশের জন্য লজ্জাজনক আখ্যা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবুল মোমেন।
একই দিন কুষ্টিয়ায় বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন হানিফ। বলেন, ‘পাপুল সরকারদলীয় নয়, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য। আর পাপুলের বিরুদ্ধে অর্থ আয়সহ যেসব দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে সেইসব দুর্নীতিগুলো বিএনপির সময় হয়েছে। যদি তার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ থাকে তবে এর দায় বিএনপিকেই বহন করতে হবে।’
একাদশ সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলেন পাপুল। তবে আওয়ামী লীগ আসনটি ছেড়ে দেয় জাতীয় পার্টিকে। তবে ভোটের আগে দলটির প্রার্থী মোহাম্মদ নোমান নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পাপুলের পক্ষে কাজ করেন বলে তথ্য মিলেছে। ভোটে তিনি বিপুল ব্যবধানে জিতে যান।
হানিফ কথা বলেন পদ্মাসেতু নিয়েও। বিশ্বব্যাংক এই প্রকল্পে দুর্নীতি চেষ্টার যে অভিযোগ এনেছিল, সেটিকে কানাডার আদালত গালগপ্প বলে উড়িয়ে দেয়ার কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে কোনো দুর্নীতি হয়নি, এটা আন্তর্জাতিক আদালতে প্রমাণিত।
‘এটা নিয়ে কথা বলার মাধ্যমেই প্রমাণ হয় এই কাল্পনিক অভিযোগের পেছনে বিএনপিরই মদদ ছিল।’
পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে হানিফ বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশই নেয় নির্বাচন ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করার জন্য। আর ভোটের সময় দেখা যায় তাদের কোনো এজেন্ট থাকে না, ভোটার থাকে না।
প্রশাসন ভোটের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য নিরপেক্ষ ভূমিকায় থাকবে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘ভোটের নামে বিএনপির সন্ত্রাসীরা যদি নাশকতা করে তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবেই। এতে তারা আওয়ামী লীগের লোকজনকেও ছাড় দেয় না।’