বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বপালন করছেন সাতজন করে পুলিশ ও ১০ জন আনসার সদস্য।
মোট নয়টি কেন্দ্রে পুলিশ ছিলেন ৬৩ জন আর আনসার ছিলেন ৯০ জন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এই দুই বাহিনীর সম্মিলিত সংখ্যার চেয়ে বেশি বিতরণ করা হয়েছে সাংবাদিক কার্ড।
অন্যদিকে এ পৌরসভায় সংবাদ সংগ্রহের জন্য ১৫৬ জনকে অনুমতি দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা দিলীপ কুমার হাওলাদার।
কোনো প্রকার যাচাই বাছাই ছাড়াই সাংবাদিক নামধারী বিপুল সংখ্যক মানুষকে এই কার্ড দেয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন বরগুনার সাংবাদিক নেতারা।
বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এনটিভি ও দৈনিক কালের কণ্ঠের বরগুনা প্রতিনিধি সোহেল হাফিজ বলেন, ‘কার্ডধারী এসব সাংবাদিকদের সিংহভাগকেই আমরা চিনি না। মাত্র নয়টি ভোটকেন্দ্রের জন্য বিপুল সংখ্যক মানুষকে সাংবাদিকতার পরিচয়পত্র দেয়ার নিন্দা জানাচ্ছি আমরা।’
জেলা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আবু জাফর সালেহ বলেন, ‘এমন কিছু টেলিভিশনের নামে সাংবাদিক পরিচয়পত্র দেয়া হয়েছে যেগুলোর নাম আমরা আগে কখনও শুনিনি।’
এ বিষয়ে রির্টার্নং কর্মকর্তা দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেন, ‘সাংবাদিকের পরিচয়পত্র দিয়ে যারাই আমার কাছে নির্বাচনে দায়িত্বপালন করার অনুমতি চেয়েছেন, আমি তাদেরই সাংবাদিকতার পরচয়পত্র দিয়েছি।’
প্রচারের সময় নানা সহিংসতার ঘটনা ঘটলেও শেষ পর্যন্ত বরগুনার দুটি পৌরসভায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়।
কোথাও ভোটগ্রহণে অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ করেননি কেউ। নারী ও পুরুষ ভোটারদের দীর্ঘ লাইন ও লক্ষ্য করা গেছে প্রতিটি কেন্দ্রে।
বরগুনা পৌরসভা নির্বাচনে ৯ মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি ৩৫ জন কাউন্সিলর ও ১৪ জন সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।